দামী পাজেরো গাড়িটি, হেডলাইট বন্ধ
করেই, হঠাৎ থেমে গেলো; নামকরা
এই পাঁচ তারা হোটেলের দরোজায়।
হোটেলের সুরভিত সাজানো গোছানো
কক্ষের ভেতরে, আজ রাতে খেলা হবে;
রসভঙ্গের লীলায় আদিম কালের
খেলা। যে খেলার তোড়ে ভেসে এসেছিলো
আদম-হাওয়ায়, স্বর্গের উদ্যান থেকে,
এ মাটির পৃথিবীতে। অথচ, ঘরেতে
অপেক্ষারত রয়েছে, পুতুলের মত
গোলগাল চেহারার তুলতুলে বউ।
সে করুণ দীর্ঘশ্বাস ফেলছে; বুকের
অভ্যন্তরে নিদারুণ বিরহের চাপ,
চরম উত্তাপ নিয়ে অপেক্ষায় আছে
বনেদীকালের পূত নারীদের মতো।
তারা কেউ সুখি নয়; অর্থ-সম্পদের
অহমিকায় সুখের ভান করে শুধু;
আর সুখ খুঁজে মরে পতিত আলয়ে।


এই মুদ্রার অপর পৃষ্ঠের চিত্রটা
অনন্যসুন্দর! ভাঙ্গা ঘরের ফুটকি
দিয়ে চাঁদের ভরা-জোছনা বিছানায়
লুকোচুরি করে; কর্মফেরত মজুর
স্বামী, তার সংসারের কর্মক্লান্ত স্ত্রীকে
বুকে নিয়ে শুয়ে আছে। নাকে মুখে তার
আলুথালু কালো কেশ কাগজী লেবুর
মায়াময় স্নিগ্ধ, নিটোল মিহিন গন্ধে
ভুরভুর করে উঠে, সারা ঘরময়।
স্বপ্নের জোয়ারে ভেসে যায় দুটো প্রাণ।
তারা গীত গেয়ে যায়- এতো সুখের
জীবন নয়তো কারো আমার মতোন।


২৮/০১/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।