প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে আছি একা,
আকাশের ন্যায় বিশাল ছাতার নিচে;
কোথা থেকে এলে
আলুথালু বেশে
একটি মেঘের উপর সওয়ার হয়ে
আমার কাছে তুমি?
শীতলতম জলের ফোঁটায় ফোঁটায়
বৃষ্টি জলে ভিজিয়ে দিলে গা।
আহা! মধুর প্রশান্তিতে ডুবি,
কি যে শান্তি লাগলো আমার দেহে;
কিন্তু আমার হৃদয়খানি করছে যে খাঁ খাঁ,
প্রচণ্ড এক উত্তাপে উত্তাপে
লু-হাওয়ারই ভীষণ প্রভাব ফেলে।


অতীত কালের বিষণ্ণ এক কবি,
কালের তরী বেয়ে একাএকা;
গিয়েছিলো বিম্বিসারই দেশে,
অশোকবনের ধূসর জগত মাঝে।
তারও দূরে, আরো দূরের পথে,
বিদর্ভ এক নগর যেথায় আছে;
বিশাল জলের সমুদ্র পার হয়ে
দারুচিনি শ্যামল দ্বীপের দেশে।
অন্ধকারে যেথায় দেখেছিলো
দিনের শেষে শিশির ঝরার মতো
শব্দ করে নেমেছিলো সুখ,
মুখোমুখি বসেছিলো-
এক বনলতা সেন।


তুমি কিগো ক্লান্তিহরা তেমন একটি মেয়ে!
কালিদাসের মেঘে চড়ে বৃষ্টিধারা হয়ে,
মর্ত্যেলোকে এলে,
শর্ত ছাড়া দুঃখীজনের তরে,
হাজার বছর কাম্যফলের ভালোবাসা হয়ে?
তোমার পরশ ভুলিয়ে দিলো লেনাদেনা-ক্ষতি,
আজন্ম লালিত তুমি, আমারই প্রিয়তি!


০৪/০৯/২০১৭
বদরপুর, মতলব, চাঁদপুর।