শিশির ভেজা সর্ষেফুলের হলুদ রেণুর কসম খেয়ে বলছি তোমায়-
ভালোবাসি কিশোর কালের মোহবিহীন দুরন্ততায়;
মেঘনা পাড়ের জলে সিক্ত মিহিন বালুর কসম খেয়ে বলছি তোমায়-
ভালোবাসি যুবক কালের বিস্ময়কর চপলতায়;
রাধাচূড়া-গোলমোহর আর জারুল গাছের কসম খেয়ে বলছি তোমায়-
ভালোবাসি পৌঢ়কালের প্রশান্তিময় বিমুগ্ধতায়;
রাতের তারার, নিহারিকার, চাঁদের আলোর কসম খেয়ে বলছি তোমায়-
ভালোবাসি বৃদ্ধকালের অপার প্রেমের নির্ভরতায়।


ভালোবাসি সন্ধ্যাকালের আলোর রেখায় বিচিত্রময় ছবির মতো;
ভালোবাসি প্রভাত কালের শান্ত শীতল সুগন্ধময় আলোর মতো;
ভালোবাসি দিনের শেষে নীড়ে ফেরার পাখপাখালির খুশির মতো;
ভালোবাসি দীর্ঘকালের বিচ্ছেদের পর হঠাৎ করে পাওয়ার মতো।
শান্তিময় হোক তোমার জীবন আবর্জনার দুর্গন্ধের নাগাল থেকে;
শান্তিতে রও পত্র-পুষ্পে সুশোভিত স্নিগ্ধ কোমল বনের বাঁকে।


জীবন ঘসেঘসে আমি বুঝে গেছি সত্য কথার আপ্তবাণী-
যতো দূরে রও না তুমি, ততোই মনের গভীরে রও, এই তো জানি!
বড় প্রেমের ধারার মতো তোমায় আমার কাছের থেকে দূরে টানে,
তপ্তহৃদয় হাহাকারে হুতাস করে, কেউ বোঝে না প্রেমের মানে।


১৩/০৫/২০২২
কোয়ান্টামম, লামা, বান্দরবান।