দূর আকাশের গায়ে ওলানের মতো ঝুলে আছে
সাদা-কালো মেঘগুলো। সে এক ঝড়ের পূর্বাভাস।
দ্রুতগামী মেঘগুলো উড়ে যায় মাতালের মতো
এদিক ওদিক, সারাদিন-সারারাত; অধীর শরীর তার।
একটি অসাধারণ পাথর গড়িয়ে পড়ে হুলস্থুল করে  
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে; তার শরীর বৃষ্টির জলে ভেজা।
রাস্তার পাশের ফুল, ফুলের উপরে উড়ে আসা মৌমাছিরা,
তারা আজ সকলেই খুব ভেজা, মাতাল বৃষ্টির জলে;
অথচ, এ বৃষ্টিই সৃষ্টি হতো প্রিয়ার গভীর প্রেম থেকে।


উড়ন্ত পাখিরা নিজেদের মাঝে কম কথা বলে,
লক্ষ্যমুখী উড়ে যায় বেদনাকে পশ্চাতে ফেলে।
যখন, বৃক্ষডালের আড়ালে বিশ্বের হতাশা ফোটে,
ভেজা গায়ে জবুথুবু হয়ে বাতাস আর বৃষ্টির জলে।
তখন, প্রেমের গান ফোটে না তাদের কণ্ঠে,
সংখ্যাহীন বছর এভাবেই কেটে যায় পাখিদের জীবন-যাপন।


কামারের খোলা কারখানা ঝাঁপহীনভাবে বন্ধ হয়ে গেছে,
অগভীর জলের ভেতরে ডুবে গেছে তার গনগনে হাপর,
শুকনো মুখ নিয়ে যে সোমত্ত মেয়েটি দাঁড়িয়েছিলো
বৃষ্টিভেজা সুবর্ণ রোদের আশায়;
তার বুনো-স্তন ভিজে গেছে জলের ঝাপটায়।
আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে ঘোমটা টেনে
সে-ও ঘরের দিকে ফিরে যায়।


জেলেরা জলেতে জাল ফেলে মাছের অন্বেষণ করে,
তাদের প্রাচীনতম জমিন সমুদ্রের জলে ফিরে যেতে চায় মন;
সন্দেহের মতো সময়গুলো ঝড়ের তাণ্ডবে ফিরে আসে
ঝুম বৃষ্টির চাতালে; ভিজে যায় কাঁথাবালিশ, ঘরবাড়ি,
জীবনের তক্তপোশ।
যে বৃষ্টিজলে সৃষ্টি হতো প্রিয়ার গভীর প্রেম থেকে,
সে আজ ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব আনে মনে।


০৩/০৫/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।