কুয়াশায় আচ্ছাদিত করে আছে চারিদিক
আমার কাজলকালো নয়নের জ্যোতি
নিষ্প্রভ, নিস্তেজ হয়ে আসে
আমি কিছুই দেখতে পারছি না
আলোগুলো ছায়া হয়ে কালো কালো রূপ ধরে
গলে গলে যায়
বিন্দু বিন্দু ঝরে ফোঁটায় ফোঁটায়।
কিছুক্ষণ আগে
যে সকল স্মৃতিগুলো- সুখের আর দুঃখের
মগজের নিউরনে তোলপাড় করে যেতো
তা এখন শীতের রাতের গহীনে
কম্বলের উষ্ণতার মাঝে শুয়ে যেতে চায়।
দরদী মায়ের প্রতি প্রেম-ভালোবাসা
বিদগ্ধ পিতার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা
আদুরে বোনের প্রতি স্নেহের প্রত্যয়
বুকের প্রান্তরে শক্তি ও সাহস জাগানীয়া
ভাইয়ের প্রতি অনুরাগ
এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সরে যায়
দীর্ঘশ্বাস ঝরে পরে প্রিয়তির ঠোঁটে
উল্টেপাল্টে যাচ্ছে জীবনের সকল আখ্যান।
এখন আগুন দেখি না আমি
সীতাকুণ্ডের বিএম কণ্টেইনার ডিপোর চত্বরে।
দলা দলা কালো অন্ধকার
লাভাস্রোতের মতোন নেমে আসে
কোন এক ভুতুড়ে আগ্নেয়গিরি থেকে।
আমি ডুবে যাচ্ছি, তলিয়ে যাচ্ছি অতলে
আমাকে তুলে ধরো মানুষের মমতার হাতে!
আমার আকুল আবেদন
তোমরা কি একটুও শুনতে পাও না?
আমি অঘোরে ঘুমিয়ে যাচ্ছি
আমাকে জাগিয়ে দাও নির্জন প্রভাতে
পাখিদের কলকাকলী শুনতে সাধ জাগে প্রাণে।
আমার স্মৃতিময় সন্ধ্যাগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
প্রিয়তির হাত ধীরে ধীরে সরে যায়
অনন্তপাড়ের কোন বেদনার সীমানায়।
আমাকে তুলে ধরো
আমাকে জাগিয়ে দাও
আমার চোখ ভিজে আসছে অনেক ঘুমের ক্লান্তিতে
দিন-রাত একাকার
আলো নেই কোথায়ও, আগুনও নেই
ক্ষাণিকটা উত্তাপও নেই
শীতল! মহা-শীতল ঘিরে আছে
আমার দেহের কাছে
চারিধার শুধু অন্ধকার, ঘন অন্ধকার!


০৮/০৬/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।