নিশি জেগে জেগে, প্রতিরাতে
একখানা চিঠি লিখি, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর;
কতশত কথা! জানা ও অজানা অফুরান শব্দগাঁথা।
অতঃপর, দিনের প্রথম ভাগে ছুটে যাই
পোস্ট অফিসের আলো-আঁধারির স্যাঁতসেঁতে ঘরে,
পৌঁছে দিতে হবে রাতের ফসলগুলো
প্রিয়তির দৃষ্টির চেতন সীমানায়।
ডিমের কুসুমের মতো লাল প্রভাতের সূর্যখানি
ক্রমে ক্রমে প্রখরতা পায়;
তার কোমল শরীর গলে গলে ঝরে পড়ে তরল রজত,
প্রচণ্ড উত্তপ্ত পথে আমি একা, দ্রুতপদে
ছুটে যাই রানারের মতো, নিতান্ত উদ্ভ্রান্ত।


গুড়িগুড়ি সাদা ফুল ফুটেছে মেহেদি গাছে,
গন্ধে কি তার মাতাল হয়েছে মৌ-লোভী মৌমাছি?
গুণ গুণ করে গেয়ে যায় গান,
গুঞ্জরিত মঞ্জীরের তানে আবেশিত কান;
তবুও শোনার সময় নেই; ছুটে চলি
হৃদয়ে কাঁপন ধরানো মেহেদি ফুলের গন্ধ নিয়ে,
এই শব্দহীন অকুল পাথারে বিরহী হৃদয় কাঁদে।


আমারই বুকের রক্তে লেখা বিরহ মন্দার চিঠি
পেয়েছো কি তুমি, হে প্রিয়, প্রিয়তি আমার!
রক্তের আকরে মিশে আছো আজো অলোকনন্দিনী-
জীবন-মরন বিশ্বাস তুমি, ছিলে আনন্দেরই খামার।
পাওনি কি তুমি সে-ই চিঠি?
না কি বদলিয়েছো সেই স্মৃতি মাখানো দিঠি?
শোকের মাতম বুকের ভেতরে আইলা-সিডর আনে,
'ভালোবাসি' বলেছিলাম আমি, শুধু তোমারই কানে কানে।


২৫/০৮/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।