ছন্দ মেনে লিখবো না আর কাব্যকথা!
ছন্দ হলো কাব্যকলায় বাতুলতা।
কথার কথা লিখলে যথা- হয় কবিতা,
আমি-তুমি, তুমি-আমি রগর-ব্লগর,
সাগর-নদীর ছলছলানি, রাত, সবিতা।
                             হয় কবিতা!
খ্যাত কবির হস্ত ধরি মস্ত বড় কবি হয়ে-
গাঁটের কড়ি খরচা করে কাব‌্য লয়ে বগল তলে
              অনুষ্ঠানে কাব্যকথার প্যাঁচাল পাড়ি;
ছন্দ হলো মান্দাতা ভাই, কাব্যকথায় ঝকমারি!
ঝঞ্ঝাটি সব শব্দ লয়ে কাব্য কথায় তুবড়ি ছড়াই,
নিজের কথায় নিজের নামেই করি বড়াই।
                                   ভীষণ বড়াই!
অত্যাধুনিক কবি বনে
বেশভূষণে আলখাল্লায় সমাবেশে জনে জনে
                       উদ্ধতভাব প্রকাশ করি',
বাবড়ি চুলের দোলনা দোলাই- আহামরি!
ছন্দ হলো কাব‌্য কথার বাধার দেয়াল,
ছন্দ কথা ভাবতে গেলে রয় না খেয়াল-
           কবিতাতে বলবোটা কি!
ছন্দ পড়ায় সময় দিলে
বন্ধ হবে কাব্যকথায় কথার রাখি।


পোলাও, কোর্মা রান্ধ তুমি, চাইনিজ, না-ডালখিচুড়ি;
সবার আগে শিখতে হবে ভাত রান্ধার কারিকুরি।
কাব্যকথায় ছন্দেতে ভাই পুষ্পশিকল নাইবা মানো-
           তবুও, কবির জানতে হবে ছন্দটা,
ছন্দ জেনে ভাঙতে হবে কাব‌্যকথার মন্দটা ।
ছন্দ হলো- কবিতাতে ঢেলে দেয়া কবির প্রাণ,
প্রেম পিয়াসী কাব্যকথার কবি-প্রাণের 'জানেমান'।


২২/১২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।