ভালো ছন্দ বোঝে না তারা;
তাই, আনে না ছন্দ কাব্যে।
ফলে, কবিতা ছন্দহারা;
বলো, ক্যানবা ছন্দে ভাববে!


তাদের কথাতে হেয়ালিতে ভরা থাকে-
''ছন্দ-ফন্দ যতোসব দিকদারি;
মনের কথার শব্দের তাড়া হলে,
হাজার কবিতা লেখা যায় তাড়াতাড়ি।
ছন্দকে নিয়ে ভাবো যদি তুমি বেশি,
কবিতার গতি অতি শ্লথ হয়ে যায়!
ছন্দ, বৃত্ত, শব্দের মিল নিয়ে
ভাবতে ভাবতে সময় যে বয়ে যায়''।


তাই বুঝি আজ আধুনিকতার নামে,
ছন্দকে নিয়ে ভাবে নাতো কবি আর;
লেখে আর ছাপে, ফেসবুকে ছেড়ে দিলে,
বন্ধুরা কয়, 'বড়োই চমৎকার'!


প্রস্বর, অক্ষর, পর্বটা কি যে,
মধ্যখণ্ডন বুঝে নাতো কভু নিজে,
স্তবক, যতি; দূর ছাই, যতোসব!
নিয়ম-নীতির বালাই হারিয়ে যায়,
নামের পূর্বে কবি লিখে তারা, হায়!,
তকমা-পদকে করে যায় কলরব।


জেনো, কবিতার চেয়ে ছন্দ বড়ো না কভু;
তবে, আদিতে কবিকে ছন্দ জানতে হয়।
যদি, কবিতার মাঝে ছন্দের দ্যুতি খেলে,
সবকিছু সুন্দর হয় জেনো নিশ্চয়।
ছন্দ শুধুই অন্ত্যানুপ্রাস নহে,
কবিতার দোলা ছন্দের কারুকাজ;
প্রকৃতির মাঝে ছন্দেরা খেলে যায়,
ভাবি ও ছন্দে সুনিপুণতায়
আনতে হবে যে সকল কবিকে আজ।


২৩/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।