দেখেছি তোমাকে অপলক চোখে
        গভীর নিশিতে বিনিদ রাতে,
চ্যুত পল্লব স্মৃতির মতোন
        ঝলকি উঠেছো নয়ন-পাতে।
    চপল মানসে ভরিলে পরান,
    বহ্নির মতো হেনে আঁখি-বান;
অতৃপ্ত হৃদি চমকিয়া উঠে
        মিটাতে চাহে যে অশেষ ক্ষুধা,
ভারাতুর মনে প্রেমজ্যোতি হেনে
        ঢেলে দিলে যেন ফেনিল সুধা।


চিরজনমের অরূপ প্রিয়তি
        কটি-বন্ধন শিথিল করে,
বাদল শেষের রাতের আঁধারে
        অবোধ খেয়ালে ডাকিলে মোরে।
    অমর হাসির সুরের লহরী,
    বেজে উঠে যেন বজ্র-বিজুরী;
ঝঞ্ঝাবর্ত নিশিথ রাত্রে
        কেঁপে উঠে যেন মর্ত্যলোক,
উদ্ধত প্রেম মহা-উল্লাসে
        ছুঁড়ে ফেলে দূরে সকল শোক।


চিরবঞ্চিত তৃষিত পরান
        পুলকের তরে মদিরা চায়,
নূপুর বাজিয়ে ধীর পদলয়ে
        এলে অলক্ত কোমল পায়।
    নিকুঞ্জ বনে আকুতির মতো,
    সুমধুর গীতি বাজে অবিরত;
তৃষিত ভ্রমর প্রণয়ে সিক্ত
        চুম্বনে গ্রাসে অধর মূল,
মরুভূমি যেনো বিকশিত হলো,
        চারিদিকে হাসে ডালিম ফুল।


প্রণয় জোয়ারে বাহুলতা দিয়ে
        বন্দি করেছো মমতাময়ী,
আত্মপ্রসাদে সুখরাশি ঝরে,
        তুমি যেন এক মরনজয়ী।
    আকুতির সেই ঘোর সংঘাতে,
    তরল জোছনা ঝরে পড়ে রাতে;
মহার্ঘ দান করে গেলে প্রিয়
        লীলাসঙ্গিনী ভুবন মাঝে,
অতীতের সেই সুখরাশিসুধা
        আজো মনে হয় সকাল-সাঁঝে।
    
০৫/১১/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।