গ্রামের মেয়েটি বড়ো প্রাণবন্ত ছিলো,
প্রতিমার সৌন্দর্যের রূপ ছিলো তার!
বাতাসে উড়তো চুল হতো এলোমেলো,
সুনিপুণ মায়াবতী দেহের আ্কার।
পরনে রঙিন ফ্রগ, লালফিতা চুলে,
প্রজ্ঞাবান কুমোরের নিখুঁত মূরতি!
হাতে তার বেলোয়ারী, টিপ ছিলো ভালে,
দুরন্ত কিশোরী এক হীরকের জ্যোতি।


চিরায়ত সংস্কৃতির নববর্ষ এলে,
বৈশাখী মেলায় যাওয়া সখ ছিলো তার।
গুরুজন, ভাই-বোন সকলেই মিলে
বৈশাখ বরণে পর্বী দিতো বেসুমার।
এখন সে চুপচাপ হিজাবের তলে,
গুমরি গুমরি কাঁদে পড়ে যাঁতাকলে।


১৪/০৪/২০২২
(১ লা বৈশাখ,১৪২৯)
মিরপুর, ঢাকা।