চূড়ান্ত এক বিধ্বস্ততায় আমরা এখন আছি;
পরস্পরে অনেক দূরে, সূক্ষ্ম সূতোয় বাঁধা।;
তবুও বলি- ভালো আছি, ভালো থেকো তুমি।
শিশিরভেজা শিউলি ঝরা আশ্বিন বুঝি এলো,
গাঁয়ের বাড়ির নিকানো সেই উঠোনেরই ধারে
বেলি ফুলের পাশেই ছিলো শিউলি ফুলের গাছ।
তারই মতো শুভ্র কোমল আমার ছোট্ট বোন,
একেকজনে একেক নামে ডাকতো আদর করে;
‘নয়নতারা' ডাকতো শুধু আমার প্রিয় বাবা।
ঘাসের ডগায় থাকতে ভোরের শিশিরবিন্দু কণা,
জাগিয়ে দিতো চুপিচুপি আলতো পরশ দিয়ে।
সে কিরে ভাই আনন্দতা শিউলি ফুলের মালা!
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো যে স্বপ্নঘোরেই এসে,
কাঁদিয়ে যায়, ভাবিয়ে যায় অনেক ভালোবেসে।
এখন সকাল বেলাতে আর দেখি নাকো আকাশ,
ঘুম ভাঙলেই মোবাইল খুলে দেখি কী কী আছে,
কয়টা কমেন্ট পড়লো আমার ফেসবুকেরই পাতায়?
দিন বদলের একি খেলা কষ্ট বুকের মাঝে,
কেউ দেখে না, কেউ বোঝে না, কেমন করে বাজে!


১৯/০৯/২০১৭
আমিন বাজার, সাভার, ঢাকা।