[আমাদের 'কবিতার আসর'-এর সুনামধন্য কবি রুম্পা শিমুল এক সময় এ রকম একটি 'দস্যি মেয়ে'-এর বিমল চেতনায় জীবনের বেশ কিছু সময় কাটিয়েছেন। তাঁর সরল ও সহজ স্বীকারোক্তিতে আমি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে, আমার এ 'দস্যি মেয়ে' ছড়াখানি তাঁকে উৎসর্গ করা হলো।]
--------------------------------------------
দস্যিমেয়ে


এই মেয়ে! তুই দুষ্টু কেনো? গাছে চড়িস!
পড়ে গেলে ভাঙ্গবি রে ঠ্যাং, বুঝবি তখন!
দস্যিপনা খুব ভালো না, আমের লোভে
ভর দুপুরে গাছে চড়িস, ভয় লাগে না?


হঠাৎ করে মড়মড়িয়ে ভেঙ্গে ডালা
দস্যি মেয়ে চিৎপটানি, বুঝো ঠ‌্যালা!
পাড়া ঘোরা বন্ধ এবার, বন্ধ সাঁতার,
ভাঙ্গা ঠ‌্যাং-এ ঘরের ভেতর শুয়ে একা।
আমরা তখন রৈ রৈ করে যাবো জলে,
চোখের জলে বালিশ ভিজে, কাঁদিস দুখে?
তেঁতুল খাবি? পাকনা তেঁতুল, ভীষণ স্বাদের;
পথ্য এখন সাগু বার্লি, এইতো মজা!
ভেংচি কাটিস দাঁত খিচিয়ে? মনে জ্বালা?
আয়, উঠে আয় হাতটি ধরে, পুতুল খেলি।


তোর ছেলেকে করবে বিয়ে আমার মেয়ে,
আমার মেয়ে লক্ষ্মীসোনা, তোর মতো না;
ঘরখানি তোর আলো করে রাখবে রে সে,
এক নামেতে সবাই চিনে লক্ষ্মী বলে।
তোর ছেলেটা কেমন যেনো সাদাসিদে!
ভাজা মাছটি উল্টিয়ে সে চায় না খেতে।
ভাবিস না তুই, মেয়ে আমার চালাক চতুর,
যাদু করে তোর ছেলেকে করবে ফতুর।