ভালোবাসাহীন জীবনের ধারা উষর ভূমির মতো-
ঝরিয়া পড়িছে করুণ গীতিকা অবিরাম অবিরত।
কষ্টের নদী নিয়ত বহিছে শোণিত-স্রোতের ধারা,
কাহারে বলিবো বেদনার কথা জীবন আত্মা হারা।


মৃত্তিকা দলা ঘুরিয়া বেড়ায় মর্ত্মলোকের পথে,
কামনা-বাসনা-চেতন-চাহিদা চলে গেছে দূর রথে।
স্বপন দেখেনা মৃত প্রাণ আর সুখের পরশ লাগি’,
ঘরেতে বসত তবু মনে হয় হৃদয়খান বিবাগী।


চাঁদের আলোয় স্নান করিব আকাশের তলে বসি,
চমকিয়া দেখি জাগিয়া উঠিছে বিরহ-ব্যথা-উষসী।
কাহারে বলিবো বেদনার কথা সোহাগ রাগিনী নিয়ে,
বিবশ জীবন নিষ্প্রাণ আজি চেতন-নাশক পিয়ে।


বিদারিত প্রাণ শুধু কেঁদে মরে ‘সুখ সুখ’ করি হায়!
সুখের পাখিরা উড়িয়া চলিছে দূর কোন্ অজানায়।
হায় ভালোবাসা! পড়ে থাক তুই বিপিন গহীন মাঝে,
উদাসী পথিক চলিয়াছে একা মরন পাড়ের সাঁঝে।


কন্টক ভরা জগতের মাঝে ফুলের লাগিয়া কবি-
সৃষ্টি-নেশায় কল্পনালোকে আঁকিয়া চলিছো ছবি।
হায় কবি প্রাণ! কংস-মথুরা, চন্দন-ধেনু সাজে,
কষ্টের ধারা ঝির ঝির ঝরে অনন্তকাল মাঝে।


৯ আশ্বিন, ১৪১৯।