তোঁয়ারে ছুঁলেই আনন্দের শিহরণ জাগে, সোনাই!
গুহাবাসী যেন আকাশের আলো দেখে
বিস্তৃত সবুজ ঘন বনানীর পাহাড়ি চাতালে
উৎফুল্ল হই শিশুর মতন।
অনন্ত স্পৃহায় ছুঁয়ে দিতে চাই
রক্তের রাগে রঞ্জিত ঠোঁট,
নিটোল পায়ের উজ্জ্বল নোখ,
কুন্তল, কপোল, ললাট, নিতম্ব, আরো কিছু।
আরো কিছু, গোপন রেখেছো যা, দেহের ভাঁজে।
একজন মানুষের হৃদয়ের নাঝে, একজন মানুষীর
যে অঙ্গজ পরশনে জাগে অতৃপ্ত শব্দের বানী - 'আহা!'


নিষেধের দেয়াল ডিঙোতে পারি না আমি,
আফসোস জাগে মহাসাগরের জলে;
প্রবল উচ্ছ্বাসে আলোড়িত হয়-
আইলা সিডর নামে, ভেঙে যায় সাধের সুন্দরবন।
অত:পর, এইটুকু আশা নিয়ে পরিতৃপ্ত হই-
সমুদ্রের প্রিয়তমা তুমি- চাঁদের প্রতিভূ,
জোয়ার ভাটায় পরস্পর করি কানাকানি।


কষ্টের পাহাড় আমার বুকের ভেতরে নড়াচড়া করে,
প্রতিদিন একটু একটু স্ফীত হয়;
সোনাই! ক্যামনে ভালোবাসি তোঁয়ারে!
অন্ধকার গুহার ভেতরে আমাদের জীবনযাপন,
জংলি জানোয়ার,  কীট পতঙ্গের মতন;
আলোময় প্রদীপের খোঁজে পথে নামি-
এক হাতে মৃত্যুর পেয়ালা, আর হাতে জীবনের পাঠ!
'হয় শরীর পতন কিংবা মন্ত্রের সাধন'।



২৯/০৯/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।