একটি মেয়ে কাঁদে যখন, বাজে মোহন-সুর বাঁশির,
ঝড় তোলে সে ভুবন মাঝে- সবাই ভাবে তাঁর হাসির।
সে-ই মেয়েটির বুকে যদি দুঃখ-ভরা ঝড় ওঠে,
আকাশ-পাতাল হয় একাকার, রংধনুদের ফুল ফোটে।
সেই মেয়েকে ভালোবেসে রাখছি রাখীবন্ধনে,
তাঁর হৃদয়ের পরশ পেলেই মনটি হয় যে চনমনে।


যেই মেয়েটির প্রেমে পড়ে কবিরা সব গাইলো গান,
যেই মেয়েটি ঘুমের ঘোরে চুপিসারে টানছে প্রাণ।
সেই মেয়েটির বিচ্ছেদে আজ ঝড় উঠে মন-মলয়ে,
দ্রাক্ষারসে সিক্ত করে রাখবো চেতন-বলয়ে।
দূরে গেছে সেই মেয়েটি; কখন? কোথায়? কে জানে!
মৈত্রী বেশে দেশ-বিদেশে খুঁজছি তারে সবখানে।


আয়রে আয় পুতুল সোনা, বাঘ-নোখিনী! হৃদ-ঘরে,
তোর তরে যে ভালোবাসা, ভুলে যাবো কী করে!
তুই যে আমার রতন-কুম্ভ, 'নূর দরিয়া', সুখ-ছায়া,
তোর তরেইতো পড়ছে ঝরে দুঃখী মনের সব মায়া।
তোরে পেলেই শান্ত হবে, অশান্ত অতল নদী,
আসবি ফিরে আশায় থাকি, হে অমরার দুর্বোধী!


দুঃখ-যাতন, অপ্রাপ্তিতে, দাবদাহে আজ পুড়ছে প্রাণ,
দুঃখবোধের সরলতায়, হও প্রিয়তি! মহিয়ান।


২৬/০২/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।