একটি নদীকে ভালোবেসেছিলো
একটি বনের পাখি;
একটুখানি শান্তির প্রত্যাশায়;
সে পাখিটি মুক্তি চেয়েছিলো
নদীটির ছলছল ঢেউয়ের অন্তরে।
একটি নদীকে বলেছিলো পাখি-
'ভালোবাসা! আমারই ভালোবাসা তুমি।
জলের গন্ধ শুঁকে যাবো দিবস ও রাতে,
কর্মের অবসরে নিশি জাগরণে,
নেশাখোর সেই প্রেমিকের মত-
জল আর জলাঙ্গির প্রতি উদগ্র বাসনা যার;
ঠেকাতে পারে না কেউ কোনদিন যারে,
ঝড়-বৃষ্টি, প্রখর রৌদ্র যত।'
একটি বনের পাখি নিজেকে উড়িয়েছিলো-
আকাশের সীমানায়;
এই কথা মনে করে, চলে যাবে বহু দূরে,
নদীটির পথ বেয়ে,
ফিরবে না আর পরিচিত সেই বন্দরে।
একটি নদী স্থবির হয়ে গেলো;
সে কি হলো আজ বদ্ধ জলাশয়!
একটি পাখি যায়নিকো দূরে
দূর অজানায় উড়ে উড়ে -
নীল নীলিমায়,
ঘুরঘুর করে ডাকছে করুণ স্বরে,
আয়, হে নদী ফিরে আয়রে,
পরিচিত আঙ্গিনায়।
জীবনের চাওয়াগুলো কি এতোই কঠিণ!
পাওয়াগুলোর মাঝে দুস্তর ব্যবধান।
একটি জলজ স্রোতবহা বন্ধ করেছে দুয়ার,
একটি বনের পাখি মাথা খুঁড়ে মরে
খুলতে সেই দ্বার,
হাজার বার।
২ চৈত্র, ১৪২৪
১৫/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।