ঘুমুতে পারিনা আমি
আজও শুনছি যৌন সন্ত্রাসীর ক্রর হাসি, বিভৎস!
অব্যক্ত বেদনার কান্না- ধর্ষিতার,
বারবার শুনি হিংস্র পশুর বিকট উল্লাস,
তাই, চেতনার ঘরে বিদ্রোহ জমে প্রচন্ড আক্রোশ।
বাতাসে শিশুর লাশের গন্ধ,
কিশোরী মেয়ের তীব্র চিৎকার সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের মতো
আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশে, আমার আঙিনায়;
ঘুমুতে পারিনা আমি নির্ভাবনার চাদরের তলে,
অসহ্য যন্ত্রনা আঘাত হানে তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে,
বিষন্ন প্রহর জাগিয়ে তোলে
প্রতিহিংসার প্রতিরোধ প্রতিক্ষণ।
আমি জেগে উঠে প্রতিবাদ করি যখন;
তোমরা বলো যে, এতো মিমাংসিত ব্যাপার-স্যাপার,
আবার কেনো যে উগলিয়ে দাও
ছাই চাপা মালসার আগুন?
যে ক্ষত শুকিয়ে গেছে কালের প্রলেপে,
কেনো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করো?
তোমরা কি জানো, আমার প্রেমের দ্রোহ
জেগে উঠে কতো আক্রোশে?
আমি ভুলতে পারিনা মায়ের বিকৃত লাশের কথা,
ভুলতে পারিনা কিশোরী বোনের আকুতিভরা চিৎকার,
ভুলতে পারিনা বৃদ্ধ পিতার দৃপ্তিময় দৃষ্টিকে
রুদ্ধ করার আসুরিক বেওনেট-চার্জ,
ভুলতে পারিনা যৌবনদীপ্ত ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত লাশের ছবি;
তাইতো জেগে উঠি বিক্ষুব্ধতায় বারবার,
ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে সত্য আনার প্রত্যয়ে।
শেষ করে সব লেনদেন-
অতঃপর, ঘুমুতে যাবো চেতনবিদ্ধতার ঘরে।
১১/১২/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।