জানালার পাশে একা বসে আছি
গাছের শাখায় জুবুথুবু একটি দোয়েল পাখি
পৃথিবীকে চারিদিকে চিরকাল ঢেকে রাখার কথা
নীলধোয়া একটি বিশাল সুন্দর আকাশ
আজ তার কোথায়ও উপস্থিতি নেই
ছাই রঙা এক চিলতে আকাশ উঁকিঝুঁকি দেয়
একটি প্রাচীন আম গাছের ফাঁকফোকর দিয়ে
সারারাত অন্ধকার নিস্তব্ধতা ভেদ করে
এ কার্তিকে ঝরঝর করে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরে গেছে
একটি দোয়েলপাখি তার ছোট্ট দেহটিকে
শাদা-কালো পালকের ভেতর ঢেকে রেখে
খুঁটেখুঁটে পোকা খাওয়ার লোভ সংবরণ করে আছে
চুপচাপ বসে আছে আমার মতন গুঁটিশুঁটি মেরে
বৃষ্টিসিক্ত ভোরের বেলায়।


আকাশে এখন উড়ে যায় ধীরেধীরে কালোধলো পাখনায়
মেঘের মেয়েরা। তাদের বিষাদগুলো কান্নারূপ বৃষ্টি হয়ে যায়
আমি একা বসে আছি জালানার ধারে
আমার দুঃখরা দপ করে জ্বলে উঠে পৃথিবীর পথে
খাণ্ডবদাহন আগুনের শিখায় পুড়ে যায় সব কিছু-
জগত সংসার
প্রেম
প্রেমিক-প্রেমিকা
পুড়ে যায় ভালোবাসা
হৃদয়ের আশা
অহংবোধের অহমিকা।
নিস্পন্দিত নির্জীব ঘোলাটে চোখ বিস্ফারিত
চেয়ে থাকে শুধু
আগুনের লেলিহান শিখা
অন্ধকারে দূর থেকে দেখা যায়
ভোরের দোয়েল পাখি আর আমার ভেতরে
চিনচিন করা ব্যথাগুলো খেলা করে
অপ্রাপ্তির মোহনার মুখে ঘুর্ণায়মান জলের বিষণ্ণতা।


২১/১০/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।