হে মোর প্রিয়, অমর কাব্যের জাগ্রত মহাকবি!
তুমি যেন এই বাংলাদেশের চির-ভাস্বর রবি।
আগুন ঝরানো বাণীর সুরের এনেছো অমর গান,
যাপিত জীবনে, কর্মকাণ্ডে আজও তা অম্লান।
জীবনের সেরা সময়গুলোকে মানুষের প্রয়োজনে
দিয়েছো বিলিয়ে পথে-প্রান্তরে, কারা-অভ্যন্তরে।
তাইতো, আজও বেঁচে আছো তুমি আমাদের অঙ্গনে
ভালোবাসা-প্রেমে, শোষিত-দুখীর হৃদয়ের কন্দরে।
আজো তুমি আছো মুক্তিকামী বাঙালির মনে মনে,
জীবনের গানে, সব সংগ্রামে, অমলিন অন্তরে।
তোমার হৃদয়ে একসাথে খেলে রবীন্দ্র-নজরুল,
মানুষের তরে শ্রম-মেধা-ঘামে ফোটাতে রঙিন ফুল।


হে, মোর প্রিয়, অমর কাব্যের জাগ্রত মহাকবি!
তোমার জীবন বাঙালির চোখে মুক্তির ছায়াছবি।
মায়ের মুখের ভাষার প্রশ্নে আপোষ করোনি তুমি,
বিদ্রোহী সুরে তুমি যে জাগালে পূত এ জন্মভূমি।
তারপর, কত হত ও নিহত হয়েছে বাঙালি প্রাণ,
লক্ষ্যের দিকে হেঁটে গেছো তুমি অমিত সাহস নিয়ে;
চিন্তা-মননে স্বচ্ছতা ভরে গেয়েছো জয়ের গান।
সে-ই সুর শুনে লক্ষ পরান মৃত্যু-জহর পিয়ে
দুঃসাহসের তরী বেয়ে যায়; তাই, তারা অম্লান!
বেঁচে আছে তাঁরা মুক্তিসেনার বীরের খেতাব নিয়ে,
অমরতা লভে ধরণীর বুকে, স্মৃতির ফলকে আঁকা;
তারাই শহীদ অমর প্রাণের, ফুলে ফুলে আছে ঢাকা।


হে, মোর প্রিয়, অমর কাব্যের জাগ্রত মহাকবি!
জগতের মাঝে অকুতোভয়ের মানুষ প্রেমের নবী।
মুক্তির বাণী হৃদি-জাগরণী কাঁপিয়ে সমুদ্দুর,
বাজিয়ে গিয়েছো মানুষের প্রেমে অরূপ বীণার সুর।
দেশ ও জাতির মুক্তির তরে রেখেছো জীবন বাজি,
কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছো, 'বাঙালি অকুতোভয়!
মানুষের তরে প্রয়োজন হলে জীবন দিতেও রাজি।
জেগেছে মানুষ মুক্তির স্বাদে জয় হবে নিশ্চয়;
যতোই করো না চাতুরী ছলনা, যতো করো কারসাজি;
জীবন-মরন তুচ্ছ সকল, মরনে কিসের ভয়'!
শ্রেষ্ঠ-বাঙালি পৃথিবীর বুকে মুজিবুর রহমান,
জাগ্রত কবি, বাংলাদেশের মুক্তির আখ্যান।


২৩/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।