জীবন ধারায় চাহিয়াছি শুধু প্রেমের ফল্গুধারা,
প্রেম কিরে? হায়! বুঝিনি তো আমি জীবন হলো যে সারা।
মনের আকুতি নির্মোহ প্রেম সংঘাত কেড়ে নেয়,
হৃদয়ের মাঝে শুদ্ধতা আনে অরূপের রূপ দেয়।
জীবন প্রভাতে ভালোবেসে আমি দুঃখ করেছি ক্রয়,
এখনো মূল্য দিয়ে যাই তার জীবনকে করে ক্ষয়।
মাতৃ-ক্রোড়ের ভালোবাসা পেয়ে ভুলেছি জগতদুখ,
স্বার্থপর এ বুকের ভেতর এনেছি কতোই সুখ।
রুক্ষ-দিনের ক্লান্ত দেহের অবসাদ যতো ছিলো,
প্রেম-মহিমার আঁচলের ছোঁয়া সকল কাড়িয়া নিলো।
বাহিরের দুখ আসিয়া যখন হৃদয়ে আঘাত দেয়,
কী এক অরূপ পরশ বোলায়ে জননী শুষিয়া নেয়।
জননী আমার কোথায় আজিকে চারিধারে মরি খুঁজে;
স্বার্থের টানে সব ভুলে যাই, চলছি কি চোখ বুজে?
ডাকিতেছে মাতা আয় খোকা আয় পরানের ধন, সোনা!
জটিল সময় পার করে যাই সময় যে হাতে গোনা।
যাবো যাবো করে হয়নি যাওয়া অভিমান করে হায়,
জননী আমার নীরবে গিয়াছে দূর পথ অজানায়।
বুকের ভেতরে পাথর বেঁধে যে কাঁদিছে আমার মন,
অভিসপ্ত হে! সারাটি জীবন করে যাবি ক্রন্দন।
মাগো, ক্ষমা করো অধম বালকে দয়াময়ী, হে জননী!
কুপূত্র হয় যথায় তথায়, কুমাতা হয় না শুনি।