গরমের চনমনে রৌদ্রের খরার তাপে
তৃষ্ণাকাতর সকল প্রাণ ওষ্ঠাগত
পশুপাখিরা একটু প্রশান্তির ছায়া চায়।
আমিওতো চাই তাপদগ্ধ দুপুরের ক্ষণে
তোমার সরস কোমল হাতের ছোঁয়া!
সবকিছু ঝেড়েঝুড়ে, ঠেলেঠুলে দিয়ে
সবকিছু ফেলেফুলে অভিমান ভরা নয়ন ফুলিয়ে
তুমি চলে গেলে অজানার কোন ঠিকানায়।
এখন রৌদ্রপ্রখর গ্রীষ্মের দুপুরে
তুমি ছাড়া আমি একা,
একা বসে আছি জারুলের নিচে!
আজো বেদনার মতো নীল রঙ বুকে ধরে
শীতের পাতাঝরার দুঃখবোধকে মুছে দিয়ে
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা নিয়ে
নমনীয় নীলচে দৃষ্টিনন্দন পাঁপড়ির চোখ মেলে
জারুলের গাছটি দাঁড়িয়ে আছে।
আমরা হারিয়ে যাই একটু বেদনার ছোঁয়ায়!
জারুলের মতো সাহসী তো হতে পারি না কখনো
পাতাঝরা শীতকালে নিঃস্ব রিক্ত হয়ে
বেদনায় কখনো মুষড়ে পরে না সে
অনন্ত আশার বৈতরণী বেয়ে এগিয়ে যায় সম্মুখে।
আবার দাঁড়ায় মুখোমুখি সময়ের বিপ্রতীপ ক্ষণে
পত্রে পুষ্পে সমারোহ তুলে।
আমরা কেহই হতে পারি না এ পার্থিব জীবনে
জারুলের মতো ধৈর্যশীল, শোভিত বিশ্বাসী
আশান্বিত পথে এগিয়ে চলার দুরন্ত বাসনা নিয়ে।


১৩/০৫/২০২২
কোয়ান্টামম, লামা, বান্দরবান।