ঝুমা, প্রিয়তমাসু, স্বর্গবালিকা তুমি!
তোমার সুরেলা কণ্ঠ আজও ভেসে যায়
তটিনীর জলস্বরে- অনিন্দ্য নিপুণে
অমোঘ সৃষ্টির মিষ্টিমধুর বৃষ্টির কলতানে।
পৌরাণিক রক্তিম উপত্যকায় হেসে ওঠো
মেনকার নূপুরের ছন্দিত আওয়াজ তুলে
মুগ্ধকর বেলোয়ারির রিনিঝিনি শব্দ শুনি
যেন সেতারের নিক্কণের মোহময়তায়
সুষম প্রাঞ্জল কবিতার সুর তুলে যায়
আজকের বয়োবৃদ্ধ বাউরি বসন্ত হাওয়ায়।
মেঘরঙ শাড়ির কলাবতি আঁচল উড়িয়ে
মদ্য-মাতাল বাতাসে গেয়ে যেতে গান
বৃক্ষের আড়ালে অনুপম বুলবুলি  
ভরা পূর্ণিমার ফিনকিফাটা জ্যোৎস্নার রাতে
কাকচক্ষু কালো জল মেঘনার তীরে।
তুমি যেন আজো আছো সেইখানে বসে
অশান্ত বাতাসে উড়ে যায় কুন্তল তোমার।
দরদীয়া কণ্ঠের সুরেলা ধ্বনি  
কানুর মতোন শুনি জনারণ্যে বসে।
তোমার খোপায় গেঁথে রাখা
বেলফুল মৌ-মৌ গন্ধ অন্য পৃথিবীর আনন্দ ছড়ায়।
আহা, কী অপরূপ! আজো তা-ই খুঁজে যাই।
কান ভরে শুনি-
ইথারে ইথারে ভেসে যাওয়া ভরাট কণ্ঠের গান।
তুমি কি জানো মেয়ে
অনিন্দ্য সুরের মুর্চ্ছনা কতোটা মোহনীয় ছিলো?
ধ্যানমগ্ন জ্যোৎস্নায় প্লাবিত সে কণ্ঠস্বর!
সর্বনাশা নূপুরের ঝংকার তুলে প্রতিদিন ডেকে নিতো
আলো থই থই রাতের গভীরে।
ক্রমান্বয়ে, ম্লান হয়ে যেতাম
ধ্যানভাঙ্গা অপরূপ শরীরের গন্ধে!
উদাসী ফেরারি আমি বার বার ফিরে আসি
নীলাভ চোখের হিমেল হাওয়ার তটরেখায়।
চিরন্তন প্রেমের নায়িকা তুমি
স্মৃতিপটে ভেসে উঠো অনাবিল মহিমায়
মগ্নতায় নিত্য উদ্বেল, বিহ্বল হই
সিদ্ধার্থের ধ্যানভাঙ্গা বিদুষীর মোহে।
চিরকিশোরী বালিকা- ঝুমা; স্বপ্নময়ী!
আজও, সো-ই তোমাকে ভুলতে পারিনি।


২৭/০৩/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।