আমরা ক'জন রাত দুপুরে শ্যামল গাঁয়ের
কাঁচা পথে যাচ্ছি হেঁটে । একটু আগে
বৃষ্টি হলো – সাবধানতার অভাব হলে
আছাড় খাবো, ঘুঁট ঘুঁটে সেই অন্ধকারে
যাচ্ছি হেঁটে,  যাচ্ছি হেঁটে,  যাচ্ছি হেঁটে...
মেঘের ফাঁকে মাঝে মাঝে আকাশ জাগে –
মিট মিটিয়ে তারা জ্বলে কোমল আলোয়।
সে আলোতে পৌঁছতে হবে মোক্ষলোকের
আলোর গাঁয়ে। অন্ধকারে কালোর নদী
নেমে আসে পথের পাশের বাঁশঝাড়ের আর
শ্যাওড়া গাছের জোনাই পোকার আলো মেখে।
স্বপ্ন ভরা তারাগুলো যখন জ্বলে,
আমরা তখন চলার গতি দেই বাড়িয়ে,
শক্তি দিয়ে হাঁটতে থাকি,  হাঁটতে থাকি...
মেঘের আড়াল হয় যদিবা ঐ তারারা
দাঁড়াই নাকো থমকে কেহ, ধীরে হাঁটি।
জীবন হলো প্রবাহমান শুধুই চলা-
পলে পলে সদলবলে চলতে হবে,
থামতে কেহ পারবে নাকো মুহূর্ত কাল;
থামা মানেই স্থবির জীবন মৃত্যু সমান।
হয়তোবা কেউ নিরাপদে পৌছে যাবে
আপন ঘরে,  হয়তোবা কেউ পড়ে রবে
ক্লান্ত হয়ে, অন্ধকারে পথের পাশে।


মানুষ জীবন এমন করেই ছুটে চলে
আবছা আলোর অন্ধকারের পিছল পথে;
কেউ খুঁজে পায় ঠিক নিশানা মোক্ষলোকের।
আমরা সবাই কাঙালী হই আলোর রেখার,
আমরা  সবাই যাচ্ঞা করি কোমল আলোর।
অধিক আলোর ধাঁধা যদি লাগে চোখে,
আবার তখন যাই হারিয়ে অন্ধকারে।
জীবন মানেই আলো-আঁধার পথে চলা,
পিছল পথে মোক্ষলোকে এগিয়ে যাওয়া।


১৮/০৮/২০১৮
মিরপুর,  ঢাকা।