জীবন নামের ট্রেনখানি ভাই
চলছে খুবই জোরে।
ঝিক ঝিক ঝিক তালে তালে
কোনবা অচিনপুরে?
চলছে খুবই জোরে।


পারায়ে মাঠ নদীরই ঘাট,
বন-বাদার আর ব্যস্ততার হাট,
ছবির মতোন গ্রামগুলোকে
পিছন ফেলে ফেলে;
চলছে খুবই জোরে।
কোনবা অচিনপুরে?


পথের পাশে রয় তাকিয়ে
কাজলা মেয়ে চোখ বাঁকিয়ে,
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি
ভাটিয়ালীর সুরে;
মনটা উদাস করে।
যাচ্ছি চলে একলা আমি
কোনবা অচিনপুরে?
চলছি খুবই জোরে।


নাইকো সময় থেমে গিয়ে
একটু খেলি তাদের নিয়ে,
যাদের সাথে এতোটা কাল
ছিলেম আপন করে;
অন্তরের অন্তরে।
বাঁধা সময় হিসেব করে
চলছি অচিনপুরে,
কোন মায়ারই সুরে!


উড়ছে ঘুড়ি ঐ আকাশে,
কাঁপছে হিয়া ভয় তরাসে
কখন জানি ভোকাট্টা হয়
ভয় জাগে মন জুড়ে;
কাঁপছে হিয়া ডরে।
যাচ্ছি চলে সকল ফেলে
কোন সে অচিনপুরে!
সকল বাঁধন ছিঁড়ে।


ঘাটের কাছে বাঁধা আছে
বট-পাঁকুরের ছায়ার নিচে,
কোষা ডিঙি দড়ি দিয়ে
অনেক কঠিন করে;
না যেন যায় ছিঁড়ে।
হঠাৎ করে জাগলে বায়ু
রয় না নৌকা তীরে,
যায় চলে যায় দূরে।


জানলা দিয়ে তাকিয়ে রই,
ছবিগুলো হারায় যে কই?
ঝাপসা হয়ে দ্রুত বেগে
যায় চলে যায় দূরে;
বিষাদে মন ভরে।
যাচ্ছি চলে কোন তাগিদে
কোনবা  মায়ার তোড়ে!
চলছি খুবই জোরে।


১৮/০৯/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।