ধরণীর শোভা যত দেখে যাবে বাড়বে দেখার সাধ,
হৃদয়ের মাঝে প্রশান্তি পাবে; জ্ঞানও হবে অগাধ।
দেখো যদি তুমি সূর্যোদয়ের অপার নিলীমা শোভা,
লাল থেকে ক্রমে দেয় সে ছড়িয়ে শুভ্র তীব্র আভা।
কুসুমকোমল আলো যেন গলে পূব-আকাশের ভালে,
স্বাদ নিতে তার জাগতে হবে যে ভোর প্রভাতের কালে।
জলের ভেতরে তরল সোনার সূর্যের আভা যত,
টলমল করে প্রথম প্রেমের কিশোরীমনের মতো।
সূর্যোদয়ের খেলা পরিশেষে চারিদিকে চাও যদি,
দেখবে রজত ঊর্মিমালাকে নাচায় বহতা নদী।
শান্তদুপুর চিকচিক করে রোদের আদর পেয়ে,
বৃক্ষের তলে ক্লান্ত রাখাল মরমীয়া যায় গেয়ে।


দূরদেশ হতে ঝাঁক বেঁধে ফিরে পাখীরা আপন নীড়ে,
মালিকার মতো আকাশের গায় উড়ে যায় ধীরে ধীরে।
দিবসের শেষে গোধূলি লগ্নে সূর্যাস্তের খেলা,
চোখ খুলে দেখো অপরূপ সাজ জীবনের এই বেলা।
এমনি করেই ক্রমে ক্রমে হয় দিবসের আলো শেষ,
অমোঘ ধারায় আমরা সকলে হয়ে যাবো নিঃশেষ।
সূর্য যেন জীবনের প্রতীক উদয়-অস্ত বেলা,
প্রতিটি মানুষ এক দিবসের অরূপ আলোর খেলা।


১০/০৮/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।