সমুদ্রতলের জল- জমাটবাঁধা গভীর অন্ধকারে
নিমজ্জিত, জলে প্রবাহিত তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ;
আকাশে আচ্ছন্ন ঘন কালো মেঘের পাখায়
ঢেকে দেয় সমস্ত আকাশ- রাহুতে ঘিরেছে যেন
পূর্ণিমার চাঁদ। অতল জলের অন্ধকার হয়ে যায়
আরো অধিক গভীর অন্ধকার; হাত বাড়ালেও
দেখা যায় না নিজের হাত মোটে। এমনই অন্ধকারে,
হে প্রিয়তি, জ‌্যোতির্ময়ী! অনন্ত প্রেমের উজ্জ্বল
আলোকমালা জ্বেলে, আমার সম্মুখে এসো,
পথের নিশানা হয়ে। মানুষের এ জীবন-
চিরতৃষ্ণার্ত হৃদয় তার, ক্রমাগত ছুটে চলা
উত্তপ্ত মরুভূমির শূন্যতার মাঝে। দূরে, বহুদূরে
দেখা যায় জলের আধার- বিশাল বিস্তৃত স্থান জুড়ে
রাশি রাশি জল, করে টলমল, অনন্ত সুখের বিথি
সাজিয়ে রেখেছে পরিপাটি করে, ছুটে যাই প্রাণপণ,
প্রাণ বাজি ধরে তৃষ্ণা নাশিতে, সে জলের আশায়।
হায়! চারিদিকে অমোঘ শূন্যতা- মরিচিকা!
শুধু মরিচিকা!! এমনই মূহুর্তে আজন্মলালিত প্রেম!
প্রিয়তি আমার, করুণার ভালোবাসা ছড়াও মননে।
তোমার শীতল ঠোঁটে কতো মোলায়েমে চেপে ধরো
অনন্তকালের পিপাসার্ত আমার বিরহী শুষ্ক ঠোঁট;
চিরতৃষ্ণা মিটিয়ে দেবার কাওসারের সুমিষ্ট জল
প্রবাহিত হয় যেনো করুণাময়ীর প্রেমময় ঠোঁটে;
ধীরে ধীরে নেমে আসে ঠোঁট থেকে হলকুমে,
অতঃপর, বেয়ে চলে উত্তপ্ত সমস্ত শরীরে
আমার দেহের প্রতিটি বিন্দুতে, আনাচে কানাচে।


১৩/০৫/২০১৮
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।