দীর্ঘ পথে একলা যখন চলো
তাকিয়ে থাকি চোখের পলক টানি,
নদীর সাথে কথা যখন বলো-
বাতাস হয়ে জড়াই দেহখানি।
তখন তুমি বলো হেসে হেসে-
'কে গো তুমি ধরলে আমার কেশে?'
বলি আমি- 'তোমার বহুত চেনা,
তুমি আমার রক্ত দামে কেনা।'
সাঁঝের বেলায় প্রদীপ জ্বেলে ঘরে
সন্ধ্যাপুজা যখন করো একা,
তখন আমি থাকি চুপটি করে
পুজার শেষে তোমাকে দেই দেখা।
লাল গোলাপের রক্তধারা এনে
কপালে টিপ পরাই বুকে টেনে।
তখন বলো- 'আহা দুষ্টু! ছাড়ো,
সন্ধ্যা এখন, সময় আছে আরো।'
রাতের যুদ্ধে জোনাক জ্বলে সুখে
দেহলতা নিঃসাড় পড়ে থাকে,
দু'হাত দিয়ে টেনে আমায় বুকে
গন্ধ শুঁকো বাঁশির মতোন নাকে।
বললে তুমি- 'হাজার বছর ধরে
ঘুমিয়ে রও আমার বুকের 'পরে।'
আমি বলি- 'তা কি করে হয়!
যুদ্ধে যাবার হলো যে সময়।'
চারদিকেতে ফণা তুলে সাপে-
মায়ের বুকে ছোবল দিতে চায়;
দুঃখ-রাগে দেহখানি কাঁপে
যুদ্ধ ছাড়া নেইকো যে উপায়।
বললে তুমি আঁচলখানি টানি-
'তোমার সাথে বাঁধা পরানখানি
যুদ্ধে আমায় সঙ্গী করে নাও।'
'চলো' বলে বাড়িয়ে দিলেম পাও।
২১/১২/২০১৩
মিরপুর, ঢাকা।