প্রিয়তমেষু কবীর হুমায়ূন!
বহুদিন গতো হলো, এখন কেমন আছো,
এই জন্মদিনে? কখনো কি মনে পড়ে
সেই সকল উজ্জ্বল নরম শিশিরের কথা?
শীতের সূর্যের ব্যাকুলতা ঝরে যেতো
তার সোহাগী উষ্ণতা নিয়ে! কী আশ্চর্য!
আজোও ভুলতে পারি না সেই সব স্মৃতি,
তাহাদের অন্যরকম আতিথেয়তা।
এখন নিজেকে যত্ন করো শঙ্কিত চেতনে,
অদৃশ্য ঈশ্বর ভয়ে অথবা বেঁচে থাকার ইচ্ছায়।
কত নির্মমভাবে জীবনকে করেছো অপচয়!
ধ্বংস করেছো হীরকের মতো দামী সময়,
নষ্ট করেছো বিশ্বাস ভীষণ আস্থাহীনতায়;
খেলে গেছো নিঃশ্বাসের সাথে জীবনের জুয়া।
মনে কি রেখেছো, সেইসব প্রতিজ্ঞার কথা,
সেইসব সুখের ফুলঝুরি আনন্দের স্মৃতি,
যারা বয়ে যেতো স্ফীত শিরা উপশিরা বেয়ে?
তুমি কি এখনো বেদনার কথা ভাবো-
অনিদ্রিত ব্যথাতুরা অসহিষ্ণু রাত্রিদের কথা,
জীবন যুদ্ধের মাঠে জয় ও পরাজয়ের গাথা?
ভুলে গেছো সেই সব দিবসের জ্বলন্ত শ্লোগান
উত্তপ্ত জীবনের গান, আগুনের পরে আগুন!
এখন আবেগ নিয়ে খেলা করো একা;
কোনদিন ফিরতে পারবে না কবীর হুমায়ূন।


প্রিয়তমেষু কবীর হুমায়ূন!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি; নেই কোন গুণ।
তবুও, সত্যি বলছি, বিশ্বাস করো সরলতায়-
এখনো সচল আছো, ঠিক আগের মতোন।
বুকের ভেতরে সূর্যের উত্তাপ নেই বটে;
এ মিথ্যাকে ঝেড়ে ফেলে হেঁটে যেতে পারো;
আনন্দালোকের সহযাত্রীর মতো অলকানন্দায়


সময়ের ঘড়ি চলে যাচ্ছে অজানার পথে।
হে বন্ধু কবীর হুমায়ূন, তুমি এক অদ্ভুত মানুষ!
সুখ, সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য নিয়ে সময়েরা এসেছিলো,
কিন্তু, মুখোমুখি হতে পারোনি কখনো, জানি।
বিদায় বন্ধু বিদায়! বুকের ভেতরে জ্বলন্ত আগুন,
বিদায় প্রিয়তমেষু কবীর হুমায়ূন!!


৩১/১২/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।