কাজের বুয়া, নয় কি মানুষ, নেই কি তাদের প্রাণ?
গরীব বলে নাই কি তাদের মানুষ নামের মান?
তারা কি নয় সবার মতোন এক বিধাতার সৃষ্টি?
থাকতে কি নেই তাদের সাথে শুভবোধের দৃষ্টি?
কাজের বুয়া তোমার মতোন রক্ত মাংসে গড়া,
তাদের প্রতি কেনো তুমি হও যে ভীষণ কড়া?
কাজের বুয়ার বেদনাকে বুঝতে চাও না কেন?
সকল মা-ই কাজের মানুষ এই কথাটি জেনো।
তোমার-আমার ভগ্নি-মাতা সবাই কাজের লোক,
কাজের বুয়ার বেলায় কেনো ধরছো এতো 'ঠোক'?
সে-তো তোমার মায়ের মতই, নয়তো তোমার ভগ্নি,
একটু ভুলের জন্য কেনো গায়েতে দাও অগ্নি?
মানুষ একই রবের সৃষ্টি, সকলের এক মান,
কাজের বুয়া! তাই, করো না তাদের অপমান।
শ্রেষ্ঠ মানুষ! সৃষ্টি-সেরা, নয় সে কারোর দাস,
কেউবা গরীব, কেউবা ধনী বিধির পরিহাস।


পাহাড় ভেঙে হয় যে নদী, সাগর বুকে চর,
কে যে কখন কোথায যাবে, রাখে কে খবর!
হয়তোবা এক কাজের বুয়া তোমার মনিব হবে!
কতো উলট-পালট যে হয় বিচিত্র এই ভবে।
একা যখন সময় পাবে ভেবো মনে মনে-
কার অবস্থা কেমন হবে, আগামীর কোন ক্ষণে!
কাজের বুয়া গরিব বলে দিও না কেউ ব্যথা,
একটু ভাবো চক্ষু বুজে তুমি থাকলে সেথা-
কেমন আচার আর ব্যবহার চাইতে মনিব হতে?
কাজের বুয়ার সাথে তুমি করো তা' সে-ই মতে।


২২/০৬/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।