মু্ক্তিকামী বাঙালির জীবনের সকল স্বপ্নের
বাস্তবায়ন-মহানায়ক তুমি;
মধুমতী তীরের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম লভেছিলে,
শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ! তার স্বাধীন সার্বভৌমত্বে,
স্বর্ণাক্ষরে লেখা রবে যার নাম পৃথিবীর ইতিহাসে-
সে তো তুমি।
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জল জানে-
তোমার সে-ই অমর নাম,
বসন্তের দক্ষিণা বাতাস জানে-
মৃত্যুকে লঙ্ঘন করে কোন এক বীর
আতঙ্কিত মানুষের ক্ষোভিত অন্তরে
অমিত তেজের দাবানল বজ্রের মতোন
জ্বেলে দিয়েছিলো তপ্ত খররৌদ্র মাঠে,
অস্তিত্বের অভীপ্সায়;
সে-তো তুমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


আপোষ কাহারে বলে, জানোনি কখনো,
ফাঁসির দড়িকে তুচ্ছ করে
নিঃসঙ্গ কারাজীবনে কাটায়ে গিয়েছো
কতোটা বছর! জীবনের মূল্যবান সময়ের কাল।
'দুঃখী মানুষের' মুখে হাসি ফোটাবার তরে,
মানবিক অধিকার আদায়ের জন্য
তুমি আত্মত্যাগী হলে সংগ্রামের মাঠে।
তোমার চিন্তাতে ছিলো-
দারিদ্রের কশাঘাতে জর্জরিত এ বাঙালি-
অল্প আরামে-আয়াশে তুষ্ট হয় যারা,
তারা বেঁচে থাকুক ধরাতে হাসি-আনন্দ-সঙ্গীতে;
দুই মুঠো ভাত, সাধারণ পরিচ্ছদ পরে।


হিংস্র পশুদের কাছে তুমি ছিলে তাই
ব্যঘ্রতুল্য শক্তিধর, শীতে ও বর্ষায়।
অবিশ্রান্তভাবে তারা চেয়েছিলো তাই
তোমার উপলব্ধিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিতে।
আকাশ যাহারে চিনে! সাগর যাহারে চিনে!
সবুজ শ্যামল মাঠ স্বাক্ষী হলো যার,
ভোরের শিশির যাকে বুকে ধরে রাখে,
সে-তো একটি জাতির মুক্তির অবতার।
ধানের মঞ্জুরী, তার চিরল পাতারা
যাকে ছুঁয়ে দিতে চায়; প্রেমে ও ভালোবাসায়;
সে-তো কালের মহানায়ক।


আজ জলজ বাতাসে তোমার তুলিতে আঁকি
বুকের হাড়ের চূর্ণ দিয়ে
তোমারই হাতে বিনির্মিত সোনার এ বাংলাদেশ-
আমার আশ্রয়, স্বপ্ন; মধুমাখা ভালোবাসা।
জেগে উঠে সেই দেশে অলৌকিক বেদীর উপরে
তোমার সে বজ্রধ্বণীর তর্জনী,
আজীবন সংগ্রামে রঞ্জিত চিরভাস্বর উজ্জ্বল ছবি।
ইতিহাসের স্মৃতিকথায় কল্পকথা হয়ে
শিশুদের মুখে মুখে ভেসে রবে যে-ই নাম,
স্বপ্নময় শ্লোগানে শ্লোগানে, সে-তো তুমি,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


২৬/০৪/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।