চিৎকার করে এসেছি পৃথিবীতে। অনন্ত মহিমা
করেছো প্রকাশ তুমি। সীমা-পরিসীমা
কিছুই জানি না আমি।
তবু, দিবাযামী
অপার রহস্যালোকে খুঁজে ফিরি অরূপ তোমাকে।
মন্দিরে গির্জায় মসজিদে, হৃদয়ের বাঁকে
অনন্তকাল খুঁজেছি প্রশ্নাতীতভাবে সাগরে-ভূধরে
পাওয়া না-পাওয়ার লোভ  পরিহার করে;
পাইনি তোমারে খুঁজে।
কতো আপদে-বিপদে দুই চক্ষু বুজে
প্রার্থনা করেছি কায়ঃমনে, এ আশায়,
উদ্ধার করিবে তুমি ঝঞ্ঝাবর্ত হতে। উদ্ধারের প্রত্যাশায়
পাষাণে কুটেছি মাথা বারংবার, তুলেছি দু'হাত;
অশ্রুনদী বয়ে গেছে, সরেনিকো অন্ধকার রাত।


বেহেস্তের সুসংবাদ! দোজখের আগুনের ভয়
প্রতিদিন শুনি কানে। আর বিশ্বময়
নিরন্তর শুনে যাই তোমার প্রশংসা,
হৃদয়েতে তুলে আনে কামহীন রিরংসা।
রোগ, শোক, যুদ্ধ, ক্ষুধা চারিদিকে জ্বলে নিরন্তর,
পৃথিবীর মানুষেরা সমূহ কাতর
হয়ে প্রার্থনায় মগ্ন, শান্তি দাও ধরণীর বুকে।
মানুষেরা গেয়ে যাক নিতান্ত পুলকে
জীবনের গান,
আনন্দ-হিল্লোল ভরা সেই সুর, যা অম্লান।
হায়!
সে সকল আশাগুলো ধূয়ার মতোন অনন্তে মিলায়।
নিরন্তর খুঁজে যায়
কতো নামে, কতো বেশে। কোথাও না খুঁজে পায়।
রহস্যের বেড়াজালে চিরবন্দী তুমি। অতল বিস্ময়
ব্যথিত হৃদয়ে জাগে। বিশ্ব চরাচরে অয়োময় ঘরে,
অন্ধকারের ভেতরে খুঁজে যায় জন্মান্ধের মতো,
কালো বিড়ালের ছায়া অন্তহীন, অবিরত।


০৯/১১/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।