অসম্ভবের সম্ভাবনার প্রদীপখানি জ্বেলে,
আসলি রে তুই নির্যাতিত বাংলাদেশের ছেলে।
কাব্য-গানে তুললি রে ঝড় নিস্তেজ সব প্রাণে,
মাভৈঃ মাভৈঃ ভৈরবী সুর শিকলভাঙার গানে।
সত্য এবং সুন্দরতায় ফুলের ভালোবাসায়,
বিদ্রোহী প্রাণ উঠলো কেঁদে অমর্ত্য এক নেশায়।
চারিদিকে অগ্নিজ্বালা, দুঃখ, হতাশ, লোভ,
দেশপ্রেমিকের মনে আনে তীব্রদহন ক্ষোভ।
বীণাপাণির বীণাখানি করলি অগ্নিবীণা,
কবির চেতন নবীর মতোন; যায় না তারে কিনা!
সত্যটুকু জেনেছিলাম তোরই জীবনগাঁথায়,
তাইতো আজো আছিসরে তুই কাব্য এবং কথায়।
উন্মাদ তুই দেখিয়ে দিলি বিশ্ব-ভুবন মাঝে,
খড়্গ হানলি তীব্রদ্রোহে শাসককুলের তাজে।
নারীর প্রেমে বাসলি ভালো আপন স্বদেশখানি,
কাঁদলি রে তুই অশ্রুজলে প্রেমিক অভিমানি!
শোণিতমাখা তরবারিতে অগ্নিবীণার তার.
বাজালি তুই লুটিয়ে দিতে রাজার অহঙ্কার।
কান্নাকাতর আত্মা আমার তোর তরে আজ জাগে,
অব্যক্ত প্রেম, শব্দ-সুরের ভীষণ অনুরাগে।
স্তব্ধ নিথর আছিস শুয়ে প্রেমের বাঁশির রাজা,
মহাশক্তির অগ্নিসিন্ধু, নিত্য-নতুন তাজা!
আয়রে কবি, আয়রে আবার শ্যামল বাংলাদেশে,
ভালোবাসার বৃষ্টিধারায় তীব্রদহন শেষে।
অগ্নিবীণার সুরে বাজুক বিদ্রোহী প্রাণ যতো,
ভালোবাসার ইচ্ছেটা তার হোক না তোরই মতো।
ক্ষণজন্মা কবি রে তুই বিদ্রোহী নজরুল!
প্রেম ও দ্রোহের আঘাত দিয়ে ফুটিয়ে গেলি ফুল।


২৫/০৫/২০১৮
১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫
মিরপুর, ঢাকা।