আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করিলাম,
দয়ার আধার যিনি করুণার ধাম।
××××××××××××××××


পালনকর্তা যখন ফেরেস্তার ঠাঁই
প্রকাশিলো- পৃথিবীতে প্রতিনিধি চাই।
বললো ফেরেস্তারা, তারা যে সেখানে,
রক্তপাত, ঝগড়াঝাঁটি করবে সর্বক্ষণে।
আমরাতো আপনারই সদা গুণগানে,
আপনার নাম স্মরি কতো না কীর্তনে।
আল্লাহ বলেন- নিঃসন্দেহ, আমি জানি যাহা,
তোমরা যে কখনও  জানিবে না তাহা।
আদমেরে শিখাইলেন সবকিছুর নাম,
ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, সকল কালাম।
অতঃপর, ফেরেস্তাকে জিজ্ঞাসিলো শেষে,
সত্যবাদী হও যদি নাম বলো এসে।
বলে তাঁরা, পবিত্র হে, এইটুকু মানি,
শিখিয়েছ যাহা কিছু ততোটুকুই জানি।
প্রজ্ঞা আর জ্ঞানধারা শুধু আপনার,
আমরাতো জানি না যে কভু বেশি তার।
আদমেরে করিলেন যতো প্রশ্ন রব,
একে একে বলিলেন নাম ধাম সব।
অতঃপর, আল্লা কয়, শোন মোর বানী,
যতো গোপন প্রকাশ্য আমি সব জানি।
অনর্থক, অহেতুক করছো কলরব,
এইটুকু মনে রেখো, আমি সবের রব।
আদমেরে সেজদা করতে বলি সকলেরে,
ইবলিস ছাড়া সকলেই সেই কাজ করে।
অহংকারে অস্বীকার করে ইবলিশে,
কাফেরের অন্তর্ভুক্ত হলো অবশেষে।
বিরত রহিবে যারা সত্যকে গ্রহণ,
অস্বীকার করবে যারা মোর নিদর্শনে
জাহান্নামে তাহাদের স্থান রয়ে যায়,
অনন্তকাল রহিবে পাপিরা সেথায়।
আদমেরে করি হুকুম স্বর্গধামে থাকো,
ঐ বৃক্ষের কাছে তুমি কভু যেও নাকো।
হাওয়াসহ জান্নাতে করো বসবাস,
পরিতৃপ্ত সহকারে, ওহে প্রিয় দাস!
বিতারিত ইবলিসে বিচ্যুতি ঘটায়,
পরিনামে স্বর্গ হতে বের হয়ে যায়।
অতঃপর, আদমেরে পাঠাই ধরণীতে
জ্ঞান দিয়ে, লজ্জা দিয়ে ক্ষমাশীল চিতে।
আল্লাহ বড়ো ক্ষমাশীল, দয়ার সাগর,
স্খলিতকে করুণায় রাখে নিরন্তর।


০৮/০৩/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।


বিঃদ্রঃ- এ লেখা পুরোপুরি পবিত্র কোরআন শরিফ নয়; কোরআনের ভাব, কথা, উপদেশ, ঘটনা ইত্যাদি বিষয়াবলীকে কাব্যে প্রকাশ মাত্র। ভালোবাসা প্রতিজন পাঠকের প্রতি।