আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করিলাম,
দয়ার আধার যিনি করুণার ধাম।
××××××××××××××××


মনে রেখো, মুছা যবে করিলো প্রার্থনা,
তাহার জাতির তরে জলের কামনা।
বলিলাম আমি তারে, পাথরের 'পরে
লাঠি দিয়ে আঘাত করো কোমল সজোরে।
বারখানা ঝর্ণা নামে বার পথ দিয়া,
সর্ব গোত্র নিজেদের ঘাট নেয় চিনিয়া।
বলিলাম, পানাহার করো আল্লার নামে,
ফ্যাসাদ করো না আর দুনিয়ার ধামে।
তারা তখন বললে যে, ধৈর্যধারণ করে
মান্না ও ছালোয়া আর নিবো নাতো ঘরে।
পার্থনা করো তোমার পালকের কাছে,
আমাদের জন্য বহু চাহিবার আছে।
আরো খেতে চাই মোরা প্রাণে যাহা চায়,
যে সকল খাদ্যবস্তু মাটিতে গজায়।
উৎকৃষ্ট বাদ দিয়ে নিকৃষ্ট যে চায়!
তখনই আল্লা বলেন, ঢুকো নগরায়।
ভালো বস্তু ছেড়ে দিয়ে মন্দ বস্তু পেলে,
এই কথা চিরদিন গেঁথে রেখো দীলে।
গম ডাল তরকারী পেঁয়াজ মসুরী,
চাষ করে খাও তোমরা ঢুকো এ নগরী।
অতঃপর, দুঃখ-কষ্টে জীবন চলিল,
আল্লাহর রোষানলে ঘুরিতে লাগিল।
আল্লাহর কথা আর বিধানও মানে না,
নাফরমান হয়ে তারা বাড়ালো যন্ত্রণা।
অন্যায়ভাবে নবীদেরকে করিতো হনন,
ধরণীতে নাফরমানি করতো সারাক্ষণ।
সব সময় করে যেতো সীমার লঙ্ঘন,
তাই তাদের পরিণতি হয়েছে এমন।
লাঞ্ছনায় দারিদ্রেতে জীবন হয় গত,
চরম গজবে তারা হলো নিপতিত।


১৬/০৩/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।


বিঃদ্রঃ- এ লেখা পবিত্র কোরআন শরিফের কাব্যিক অনুবাদ নয়; কোরআনের ভাব, কথা, উপদেশ, ঘটনা ইত্যাদি বিষয়াবলীকে কাব্যে প্রকাশ মাত্র। ভালোবাসা প্রতিজন পাঠকের প্রতি।