আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করিলাম,
দয়ার আধার যিনি করুণার ধাম।
×××××××××××××××××


হে বনি ইসরাইল! করিও স্মরণ,
আল্লাহর নেয়ামত দিয়েছি যখন।
তোমাদেরকে মর্যাদা করিয়াছি দান,
সকলের উপরে যে তোমাদের স্থান।
ফেরাউনের লোকেরা করিত জবাই,
তোমাদেরকে নিষ্ঠুরে জানোতে সবাই।
পুত্রগুলো তোমাদের হত্যা যে করিত,
কন্যাগুলোকেই তারা জীবিত রাখিত।
তোমাদের পালক হতে ছিলো পরীক্ষণ,
এইসব কথা তোমরা রাখিও স্মরণ।
আমি যখন সাগরকে দ্বিখণ্ডিত করি,
ফেরাউনের লোকদের ডুবাইয়া মারি।
তোমাদেরকে করুণায় করি যে উদ্ধার,
ডুবাইলাম ফেরাউনকে, দলবল তার।
চল্লিশ রাত্রি মুছা ছিলো প্রভুর পানায়ে,
তোমরা তখন পুজা দিলে বাছুর বানায়ে।
তাতেও যে ক্ষমা করি, অতি দয়া করে,
তোমরাতো যালেম ছিলে ধরণীর 'পরে।
মুছাকে দিয়েছি কিতাব আর 'ফোরকান',
সত্য-মিথ্যা যাচাইকারী করিয়াছি দান।
তোমরা যদি তওবা করে ফের ফিরে আসো,
সব কিছু ত্যাগ করে আমায় ভালোবাসো।
কল্যাণের পথে রবে, তিনি ক্ষমাকারী,
ক্ষমা করে দেন আল্লাহ যিনি শুদ্ধাচারী।
অথচ বললে তোমরা মুছাকে যে ডেকে-
করবে নাতো বিশ্বাস আল্লাকে না দেখে।
তীব্র আলোকের বজ্র পড়িল যখন,
তাহা দেখে হতবাক, লভিবে মরণ।
বজ্রের আলোকে সবে হলে পাকড়াও,
মরে যাবার পরেও প্রাণ ফিরে পাও।
মেঘমালা দিয়ে আমি ছায়া করি দান,
'ছালোয়া-মান্না' পাঠাই ঢের পরিমান।
যে পবিত্র খাদ্যকণা দানিয়াছি যতো,
তা' ছিলো যে সুস্বাদু খাবারের মতো।
সেই সব দান নিয়েও গোমরাহ অতি,
বরং করেছো তোমরা, তোমাদের ক্ষতি।


১৫/০৩/২০১৯
মিরপুর,ঢাকা।


বিঃদ্রঃ- এ লেখা পুরোপুরি পবিত্র কোরআন শরিফ নয়; কোরআনের ভাব, কথা, উপদেশ, ঘটনা ইত্যাদি বিষয়াবলীকে কাব্যে প্রকাশ মাত্র। ভালোবাসা প্রতিজন পাঠকের প্রতি।