সঙ্গীবিহীন একাকী; আরণ্যিক পথে কবি-প্রাণ
হেঁটে যায় দিবারাত্রি; ছায়াদানকারী বৃক্ষাদির,
করে নাকো কামনা সে। বিরাজিত অন্তরবেদনা
মধ্যাহ্নসূর্যকিরণে অপূর্ব প্রভায় বিকশিত
হয়ে উঠে, ছায়াশূন্য বালিয়াড়ি পর্বতমালার
শুভ্রশোভাময় শীর্ষে। অন্ধকার আকাশে, প্রান্তরে
ডুবে যদি চন্দ্র, উদয় না হলে তারকামণ্ডলী;
গমনোদ্যত কবিরা হেঁটে যায়, দমে না কখনো।


ক্ষুদ-পিপাসার তৃষ্ণা অন্য সব মানুষের মতো
কবিদের থাকে না যে। অফুরন্ত শোভা সঞ্চারিত
প্রেমময় এ জগতেরই হৃদয় বিদীর্ণ করা গ্রীষ্মে,
বর্ষায়, বসন্তে, মরুর প্রবল তাপদাহে,
তুষারশীতল ঠাণ্ডায় কবিই পারে প্রচণ্ড শক্তিতে
মানুষের মঙ্গলের তরে ভ্রমণের আত্মশক্তি।


০৪/১১/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।