কবিতা! তুমি কি পথ হারিয়েছো?
কোথায় তোমার সেই দ্বিজবর কবি,
সুখের উল্লাসে মেতে দুঃখের গুহায় বসবাস যার?
কবিতার সাথে তার সহবাস ছিলো প্রাণান্তর।
সুন্দরী নারীর মতো কবিতারা অপটু কবির হাত ধরে
ক্রমে ক্রমে সরে যাচ্ছে জীবনের চারুপাঠ হতে।
আধুনিকতার নামে মোবাইল-প্রযুক্তির ধামে
তারুণ্যের জীবনাদর্শ কবিদের জীবনধারা থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়েছে আজ,
তারা ঘুরপাক খায় সর্বনাশা ফাঁদে।
স্নিগ্ধতার রজনীকে ছেড়ে টগবগানো খুনের স্বাদে
কবিতারা আজ সরলতাহীন বিমূর্ততায়,  
স্কন্ধকাটা পাঠার মতোন ছন্দহীনতায় কাঁদে।
পাঠক পায় না আর নতুন কথার বজ্রবাণী-
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে,
প্রাণ হাসে যার টগবগিয়ে খুন হাসে যার বিশ্বাসে।


কবিতার বইয়ের রঙিন মলাট শোকেসের জৌলুস বাড়ায়,
আজ কবিতা ঘুমায়
নীলক্ষেতের পুরোনো বইয়ের খোলা সেল্ফে,
ফুটপাতে ধুলাবালি মেখে,  
হৃদয়ের সুকুমার অনুভূতির কবিতা পাঠ হয় না এখন,
কবির অন্তর্লোকের কথাগুলো অবগুণ্ঠনবতী
অন্তরলোকেই থেকে যায়।
কবিতা! তুমি কি এখন কেবল স্বপ্নময় এক স্মৃতি!
ভালোবাসা আর প্রেমে, যুদ্ধে ও রণে, কারণে-অকারণে,
যুক্তির সত্যতায়, রঙ্গরসের খেলা-ধুলায় কবিতার চাল,
ছিলো বেসামাল
কবিতার বাণী প্রাণের ভেতরে প্রাণের কথা, অমলিন।
কবিতা কি আজ বড় অর্বাচীন?


২৯/১০/২০১৮
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।