চন্দ্রপোড়ার রাতে যখন অনেক কষ্টে থাকি-
বুকের ভেতরে নীরবে নীরবে চলতে থাকে  
অগ্নিগিরির গলিত লাভার স্রোত;
তখন তোমাকে ডাকি, আমি প্রাণ ভরে ডাকি,
গুটিগুটি পায়ে পায়ে চুপিসারে তোমার নিকটে আসি,
একটু শীতল বায়ুর আশায়, একটুখানি সতেজ অম্লজান,
একটু সুখের লোভে।


আবার যখন এই মনের হলুদ মাঠের অঙ্গন জুড়ে
আনন্দ ও সুখ গলাগলি ধরে হেঁটে যায়,
জলে ভরা নদীর তুমুল বিলোল হাসির কুলুকুলু স্বর
জেগে উঠে দুই তীরে, প্রকৃতির চারিধারে,
জ্বলে উঠে আকাশের কোলে চন্দ্রালোকের আলো,
গুনগুনিয়ে গানের কথা লতিয়ে উঠে স্বপ্ন নদীর তীরে,
আকাশগঙ্গার মাঠে মাঠে বুনি সুখস্বপনের বীজ,
তখনও যে আমি তোমার কাছে বিনীতভাবে
বারেবারে ছুটে আসি।


সুখের সঙ্গে অঙ্গ ভরে তোমার কাছে যাই,
তুমি আমার দুঃখনাশা লক্ষ যুগের মিতা;
তুমি আমার সুখ-সময়ের সাহসিনী এক সখা,
তোমার সাথেই সুখে দুখে করি কানাকানি।
দুঃখনাশা শক্তি তুমি, সুখের সূধীজন,
শব্দ বিলোল গোপন কথার অমিত রসের ধারা
আমার শক্তি, আমার দ্রোহ, আমার এ কবিতা।


দুঃখের সময়ে আমি তোমাকেই বুকে চেপে ধরে
গোপনের ঘরে গোপনেতে থাকি,
তোমার অন্তরে খুঁজি সুখ-
দুঃখবিধ্বংসী একমুঠো শব্দের সম্ভার।
সুখের বেলায় তোমাকে নিয়েই গল্প বানাই প্রচুর!
যা কিছু অমূল্য ধন সংসার কুলে
টক-ঝাল ও মিষ্টি মধুর।


হে আমার কবিতা! প্রাণের প্রিয়তি তুমি,
তোমার কাছেই শিক্ষা নিয়েছি-
এই মানুষের জীবনের সুখের এবং দুঃখের
দু'টি অপরূপ রাগিনীর সুর,
বেজে যায় অনন্তের পথে দূর থেকে বহুদূর।


১৪/০৯/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।