কোথায় চলেছো? কোন উদ্দেশে? কোথায় বা হবে শেষ?
আজও কি খুঁজিছো পথে ঘাটে মাঠে জীবনের উদ্দেশ?
এখানে সেখানে ঘুরেফিরে গেছো জীবনের বহু কাল,
লক্ষ্য-পথের সন্ধান নাই সব কিছু পয়মাল!
চারিদিক হতে শষ্পিত ভূমি ডাকিছে করুণ স্বরে,
থিতু হও কবি চলিও না আর নিরুদ্দেশের তরে।
চলার নেশায় মাতাল হয়েছো, চলেছো সুদূর পানে,
দু'তীর ভেঙেছে করুণ রাগিনী জীবনের গানে গানে।
ভালোবাসা নেই, শুধুই করুণা বৃষ্টির মতো নামে,
পাঠায়নি কেহ আদরে যতনে ভালোবাসা নীল খামে।
সকলে চেয়েছে জলাঙ্গী জলে করিতে শীতল স্নান,
ভাদ্রের জলে চন্দ্রের তলে গেয়ে মল্লার গান।
কবির হৃদয়ে উষ্ণতা বাড়ে আগুনের উত্তাপ,
দেখে না কেহই শুধু পেতে চায়, তাই রহে চুপচাপ।
উষ্ণতা ঝরে প্রতি লোমকূপে থর থর কেঁপে যায়,
কবিতার জলে দেহখানি তার শীতল করিতে চায়।
হায়, কবিতার জল!  
জীবন নদীতে বইলে না তুমি সুশোভিত অবিরল।    


১৪/১১/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।