একদিন সবকিছু ঝেড়েমুছে ফেলে,
আসবিরে তেড়ে তুই সব অবহেলে।
যা ছিলো জীবনে জমা যত সঞ্চয়ন,
সবকিছু হবে মিছে, হবে অকারণ।
র'বে যতো ছেলেমেয়ে, সুজন-স্বজন
হাহাকার স্বরে তারা করবে ক্রন্দন
গুঁজে দিয়ে যাবে তোরে গোরের অতলে;
তারপর, ধীরেধীরে যাবে সবে চলে।
চিরায়ত ব্যথা যতো, অনন্তের সুখ,
জমেছে যতোই মনে বেহিসেবী দুখ;
ভুলচুক যতো আছে পরিহার করে
নতুন ভূষণে তুই আসবে যে ফিরে।
ফেলে নয়া ঘরবাড়ি, সোনাদানা, মায়া,
সকলের প্রীতি-প্রেম, আদরের ছায়া;
অতল ঘুমেতে র'বি আমার বুকেতে,
নিঃসাড় একেলা তুই রইবি সুখেতে।
পাওনাদার-চাহিদার রবে না যন্ত্রণা!
থাকবে না রাজনীতি, কূটিল মন্ত্রণা;
প্রগাঢ় সুখের শান্তি, শ্রান্তির মোছনে
পড়ে র'বি তুই একা কবরের কোণে।
রাখবে স্মরণে তোরে পরিচিত জন,
উত্তম কাজের গুণে হলে সাধুজন।
কিন্তু, এখানে দু'দিন পরেই তোমার
হারাবে যে সবকিছু, রূপের বাহার।
মানুষের মাঝে যদি বাঁচিবার সাধ
থাকে চিরদিন; তবে, ভুলে অবসাদ
সততার সাথে তুমি ভালোবাসো সবে
সাধুর উদ্দেশ নিয়ে কাজ করো ভবে।
মাঝে মাঝে পৃথিবীতে করিও স্মরণ,
শাশ্বত বাণীরে- 'হবে, হবেই মরণ'।


১০/০৪/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।