হায়! কাক-চক্ষু কালো স্বপ্নময় জলভরা নদী,
সেই অরূপ রূপের ছবি আঁকে নিরবধি
তোমার পারের কোন এক বিরহী প্রেমিক কবি;
এখনো সে স্বপ্ন দেখে, এঁকে যায় অতুল প্রেমের ছবি,
অরূপ কথার বীজ বোনে, সেই জলেতে ছড়ায়,
খা খা করা রোদ্দুরের বালুর চরায়।


পাখিরা নীরবে উড়ে, আকাশের দূর সীমানায়;
তাদের অনন্ত প্রেম পড়ে থাকে জলের ছায়ায়।
কৃষ্ণ কালো জলের তরঙ্গের নিপুণ বাঁকে
রমণীয় হাসি যেনো জলেতে লুকিয়ে থাকে।


হে মেঘনা! তুমি কি গো রাধা?
ওগো জলভরা নদী!
চলে যাও দূর পথে ভেঙে দিয়ে সব বাঁধা।
নন্দের দুলাল চলে যায় বৃন্দাবন ছেড়ে বিদর্ভনগরে;
তার বিরহী হৃদয় তবুও যে থাকে পড়ে
রাধা-স্মৃতি ভরা মথুরার বৃন্দাবনে।
কর্মের ক্লান্তির শেষে রাতের স্বপনে
রাধার নামের স্বপ্ন বোনে বিদগ্ধ পরাণে।
তুমি কি বোঝ তার মানে?


ওগো, পরাণ আকুল করা নদী!
কবির মানসে সবুজ সতেজে রহো বেঁচে, মরন অবধি।
আজি তোমার বুকেতে জল নেই, হাহাকার বাজে মনে,
কিশোরেরা সাঁতার কাটে না কারণে বা অকারণে;
জেলেরা ফেলে না আর তোমার জলেতে জাল,
মাছের কারণে, বলো, গত হয়েছে কতটি কাল!
বিগত যৌবনা নারীর মতোন ভীষণ দুখে,
ধুকে ধুকে বেঁচে আছো পৃথিবীর বুকে।


০১/১০/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।