.           মিমি সেন! প্রিয় মিমি সেন!! তোমার সুরেলা কণ্ঠ
                   আজও ভেসে যায় সমুদ্রের জলেরস্বরে-
      অনিন্দ্য নিপুণ সৃষ্টির অমোঘ কলতান। পৌরাণিক উপত্যকায়
             মেনকার নূপুরের আওয়াজ, বেলোয়ারির রিনিঝিনি,
                     সেতারের নিক্কন, সুষম কবিতার মতন
                      সুর তুলে উড়ে যায় বসন্ত হাওয়ায়।
             আজো তুমি মেঘরঙ শাড়ির কলাবতি আঁচল উড়িয়ে
                       মাতাল বাতাসে বুলবুলির মতোন
           অবিরাম গেয়ে যাও গান, ফিনকিফাটা জ্যোৎস্নার রাতে,
                        যমুনার তীরে কদমের ডালে।
             দরদীয়া কণ্ঠের নিপুণ সুর হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে,
             কোজাগরী রাতের বেলায়, নির্জন নিস্তব্ধ বৃন্দাবনে।
               তোমার খোপায় গেঁথে রাখা বেল ফুলের মালায়
              মৌ মৌ গন্ধমাখা- অন্য এক পৃথিবীর সুগন্ধ ছড়ায় ।
                 দু'কান ভরে শুনি- ইথারে ইথারে ভেসে যায়
           পুরুষ্টু কণ্ঠের সুরেলা কলধ্বনি। তুমি কি জানো মেয়ে,
            আমার পরান ভরায় তোমার অনিন্দ্য সুরের মুর্চ্ছনায়?
                       ধ্যানমগ্ন জ্যোৎস্নার ললিত কণ্ঠস্বর!
                         সর্বনাশা নূপুরের ঝংকার তুলে
               প্রতিদিন যেন ডেকে যাও তুমি, রাই বিনোদিনী
                যমুনার তীরে, আলো থই থই রাতের গভীরে।
        ক্রমান্বয়ে ম্লান হয়ে যাই; ধ্যানভাঙ্গা অপরূপ শরীরের গন্ধে!
               উদাসী ফেরারি আমি বার বার ফিরে আসি
                নীলাভ চোখের হিমেল হাওয়ার সীমানায়।
    আমার এ মন বলে- তুমিই পুষিয়ে দেবে জীবনের সব লেনদেন-
             চিরন্তন প্রেমের-কিশোরী তুমি; মগ্নতায় বিহ্বল,
         সিদ্ধার্থের ধ্যানভাঙ্গা বিদুষীয়া প্রেমী, প্রিয় মিমি সেন!


২১/০৬/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।