নারী, রজনীগন্ধার মতো তুমি;
                 অথবা ফুটন্ত লাল ইরানী গোলাপ;
প্রতিটি নরের বুকে সৃষ্টি করো অনন্ত প্রচাপ
এক মহাপ্রলয়ের উতলা প্রীতির উৎসবে।
তুমি পৃথিবীর বুকে প্রেমের অর্ণবে
মায়াবী আঁখির দৃষ্টি তুলে জাগাও আকুতির ঢেউ;
উৎসব মুখরিত প্রেমময় তৃষ্ণার আনন্দে
মহা-আয়োজনে; তা' দেখলো না কেউ;
প্রবাহিত রক্তে জ্বলে যৌবনের অমিত কামনা।


নারী, বিশ্ব চরাচরে, অগোচরে, জগৎ সংসারে
আগুন লাগা জলতরঙ্গ শরীরে-মননে ধরে
মোহময় রঙে সাজো নিরন্তর;
               নেমে আসে স্বর্গের রোশনাই!
নিদ্রাহীন রাতে বিরহ-অনলে পুরুষেরা
            নিজের অজান্তে হয় পুড়ে পুড়ে ছাই।
বিপুল দহনে সে অন্তর খুঁজে মৃক্তির নিশানা,
স্বপ্নকাতুর আকাশচারীর চিরবিদ্রোহীর চিত্তে,
মোহের জাফরি কাটা প্রাচিরের প্রাঙ্গণ সীমানা
পার হয়ে যেতে চায় কাঙ্খিত সুখ ও শান্তির নিমিত্তে।


নারী, প্রেমের যাদুময় মৌচাকের মধুর মতো
চাহিদার তৃষ্ণা বাড়াও মননে অবিরাম অবিরত;
শুকতারার আলোতে জ্বলে উঠো স্বপনের মহাকালে,
প্রেমের আলাপে, সৌরভমণ্ডিত কৃষ্ণচূড়া-লালে।
তুমি যেন এক মায়াবী হরিণী, অনন্ত চঞ্চলা নদী,
উতলা প্রেমের ঘায়ে ভেঙ্গে যাও নরের দু'পাড়,
মানব সৃষ্টির মহালগ্ন হতে ধ্বংসের মোহনা অবধি
অলৌকিক স্নিগ্ধতায় স্বপ্নের সন্ধানে
                      নিয়ে যাও তারে বারবার।


০৬/০২/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।