নারী যেন এক
আনন্দ সুর, মোহন মুরালি রাখালের হাতে,
নারী যেন এক
বিদ্যুৎ শিখা, বৈশাখী ঝড়ে আঁধারের রাতে।
নারী যেন এক
শিমুল-কোমল, পূবালি বাতাসে উড়ে যাওয়া দূরে,
নারী যেন এক
তপ্ত দুপুরে স্নান করে যাওয়া শান্ত পুকুরে।
নারী যেন এক
চলমান নদী, কুল ভেঙে ছোটে সাগরের পানে,
নারী যেন এক
মায়াবী মধুর সুরের লহরী গহীনের গানে।
নারী যেন এক
অগ্নিগিরির গলিত লাভাব জ্বালামুখধারা,
নারী যেন এক
শীতের বাতাসে পাতাঝরা দিনে সব কিছু হারা।
নারী যেন এক
প্রচণ্ড তাপে গলে গলে পড়া সূর্যের জ্যোতি,
নারী যেন এক
অশান্ত মনে শান্তনা দেওয়া প্রাণের প্রিয়তি।
নারী যেন এক
স্নিগ্ধ-কোমল চাঁদের আলোতে ফুলের সুরভী,
নারী যেন এক
কবিতার খাতা অবোধ মনকে করে তোলে কবি।
এ জগতে যত
ঘটেছে ঘটনা সুখকর, মানুষের মঙ্গলে,
অথবা ঘটেছে
ধ্বংস-পতন, সকলই নারীর আঁচলের তলে।
নারীরা সহসা
আগুন জ্বালায় দাবানল রূপে পৃথিবীর মাঝে,
আবার সে নারী
আগুন নেভাতে ছাই হয় নিজে ভোর থেকে সাঁঝে।
নারীই মহিমা
নারীই শক্তি, হওরে ও মন নারীতে বিলীন!
পৃথিবীর বুকে
সুখে আর দুখে চেতনবিদ্ধ-নারী অমলিন।
নারী যদি চায়
পোড়াতে তোমায় হয়ে যাবে তুমি ধুলোবালিছাই,
তাই, সংসারে
তুষ্টিতে নারী সকলে নারীর বন্দনা গাই।
সৃষ্টি-কাননে
আদ্যশক্তি নারীর ভেতরে; পুজ্য সে তাই,
নারী যেন এক
বিজুলির আলো, এই দেখি তারে, ফের দেখি, নাই।
নারীর চেতনে
হও যদি তুমি সাধন পুরুষ সংসার মাঝে,
পৃথিবীর বুকে
হয়ে যাবে তুমি মহান মানব সকলের কাছে।
বাউলের মন
করে ক্রন্দন নারীর চেতনা হৃদয়ে লভিতে,
তাই, দিনমান
চঞ্চল প্রাণে নারী হতে চায় কথা-সঙ্গীতে।


২৬/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা