আমার মতোন এই আমারে ভাবতে দে রে এবার;
ভ্রান্তির বেলগাছের তলে ন্যাড়া যায় রে ক'বার?
যাত্রাপথে ট্রেন ধরেছি, যাত্রী ছিলাম দু'জন,
চারিদিকে হাস্য ছিলো আর ছিলো যে কূজন।
পাখপাখালি, গাছগাছালি, মাঠঘাট যায় সরে,
বিচ্ছেদেরই আলিঙ্গনে বুক ধরফর করে।
হঠাৎ করে কেনো যে তুই পাগলা ঘোড়া হয়ে,
দু'পা তুলে লম্ফ দিলি ভাবনা সকল থুয়ে।
চিত্তবিনোদনের খেলায় মজলি অকারণে,
একলা পথে চললি ছুটে গহীন আঁধার বনে।
ভাবলি, বুঝি ঐ খানে সব আলোর জলসা ঘর!
এত্তোদিনের সম্পর্ক ছিঁড়ে হলি পর।
ভেঙে গেলে কাঁচের গেলাস আর লাগে না কাজে,
তখন যে তার স্থান হয় রে আস্তাকুঁড়ের মাঝে।
সকল খেলা সাঙ্গ হলে, যে যার পথে হাঁটে,
দিনের শেষে ফিরে আসে আপন সুখের বাটে।
সুখের সাথে স্বস্তি নিয়ে কাটতে সময়কাল,
মানুষেরা এমনি করেই চায় যে চিরকাল।
আমার দিকে তাকাস নে আর, আমি মানুষ নই,
মানুষ হলে, থাকতো আমার লাজ-কান্না-ভয়।
এখন আমার চোখে মরু, ভয়-ডর আর নাই,
সমান্তরাল রেললাইনের পথ ধরে আজ যাই।
যন্ত্রণা আর হারানোর ভয় সব গিয়েছি ভুলে,
হোক না বসত একলা আমার ভাঙ্গা নদীর কুলে।
বিরক্তিকর প্রশ্ন করে রাগাস নে তুই আর,
গায়ে মেখে আলো-আঁধার আছি চমৎকার!
ভাবনাও নেই, চিন্তাও নেই, নেই যে জটিলতা,
যেখানে রাত সেখানেই কাৎ, এমন সরলতা।
হয়তো বেকুব, ফালতু ছিলাম তোর সে বিচার ঘরে,
দেখলি না তুই মনের ভেতর একটু নজর করে।
অর্থ-কড়ি, বিত্ত ও ধন, সম্পদ সব নয়,
মনের ভালোবাসা ছাড়া এ সব তুচ্ছ হয়।
একটুক্ষাণিক ভালোবাসায় সৃষ্টি যে তাজমহল,
জীবন পথের সার্থকতা কারে বলে বল?
অজানা এক পথের দিকে পা বাড়ালাম আজ,
ভুলে সকল এ সংসারের সমাজ, ধর্ম-লাজ।
কালবৈশাখীর বজ্রাঘাত  পড়ুক বাড়িঘরে,
ঘর বানাবো নতুন করে উজান বালুর চরে।


২৮/০৫/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।