কোথাও পারি না যেতে,
খেয়াঘাটে- যেখানে এখনো বাঁধা আছে কোষা নাও।
কোনদিন যদিবা সেখানে যাই,
সেই অপরূপ মুখখানি উজ্জ্বল হয়ে হেসে উঠে,
সেই কৃষ্ণ বরণ চুলের কথা মনে পড়ে।
মনে পড়ে, নদীর জলের কথা,
জলের ঢেউয়ের কথা-
ছন্দের মতোন তালে তালে চলা কোষা নৌকার কথা।
সেই সব শুশুক মাছের কথা-
হুঁস করে শিস দিয়ে ভেসে উঠে
জলের ভেতর থেকে,
আবার জলেই দিতো ডুব।


আজ যেতে পারি না পাহাড়ে,
তোমার সকল উচ্ছ্বলতা পাখিদের মতো
উড়ে উড়ে যায় মেঘেদের সাথে,
শ‌্যামল বনানী ঘিরে।
হরিণীর মতো চঞ্চল দীঘল কালো চোখ,
অন্য এক দেশের ঠিকানা বলে দেয়।
কিভাবে সেথায় যাবো?
আমি পঙ্খিরাজ ঘোড়ার রাজপূত্রতো নই।


যেখানে নদীরা খুঁজে সুখময় স্পর্শের পরম সুখ,
সেই সাগরের কাছে যেতে পারি না কখনো।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে নেচে উঠে তোমার নিটোল দেহ,
অলকানন্দার তীরে স্বর্গঅপ্সরীর যেন।
আকাশে বাতাসে কতো কথা ভেসে উঠে,
বালুর কণায় হেসে উঠে
তোমার পায়ের জ্যোতির্ময় আলো।


আমি হেঁটে যাই নিশানাবিহীন অজানার পথে,
যেন শবযাত্রার মিছিলে নেমেছি আর সকলের সাথে,
আতরলোবানের সুরভী মেখে
হেঁটে যাই অনন্তকালের পথে।
তোমার স্মৃতিরা চুপিচুপি এসে
নিরুদ্দেশে ডেকে যায়,
আয়, আয়...


০৫/০৫/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।