সরল মানুষ দুঃখ পেলেই কান্দে আপন মনে,
কান্না যে তার দেখে না কেউ, রাখে সংগোপনে।
সুখের জন্য মিথ্যা করে কাব্য লিখে যথা,
কাব্য যে তার হয়না মধুর বললে সঠিক কথা।
অন্ধকারে খুঁজে বেড়ায় আলোর ঝলকখানি,
দপ করে সব যায় যে নিভে ব্যথার পর্দা টানি।
নদীর জলে সুখ খুঁজে সে কাব্যকথার ছলে,
সে-ই নদীজল যায় শুকিয়ে গহীন বালুর তলে।
জ্যোস্না ঝরা চাঁদের কাছে সুখ চায় হামেশাই,
বিশাল কালো মেঘের পাহাড় ঢেকে দেয় রোশনাই।
অরণ্যকে বলে তখন, 'ক্ষাণিকটা দাও সুখ'!
মস্ত বিপিন বিষন্নতায় চিতিয়ে ধরে বুক।
সেই বুকেরই বৃক্ষ সকল দারুণ খরায় পুড়ে,
উদোম গায়ে দাঁড়িয়ে থাকে বিপুল জায়গা জুড়ে।
বৃষ্টিকে কয় সুখ কামনায়, 'একটুখানি দাও';
বৃষ্টি তখন ঝড়ো হাওয়ায় ডুবায় আশার নাও।
সুখ পেলো না জগৎজুড়ে, দুঃখ রাশি রাশি,
সুখ বিহনে দুঃখ লয়ে হয় যে বনবাসী।
ভালোবাসা এখন যে তার দুঃখবোধের লতা,
দুঃখ নিয়ে কাব্য করে অদ্ভুত সরলতা।


০৩/০২/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।