এ মানুষ জীবনের কতোশত গান
অমূলক ঘুর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে,
কালের প্রবাহে হয়ে যাবে ম্লান।
আমরা সকলে এই পৃথিবীর 'পরে
যে সমস্ত স্বপ্ন সাজিয়েছি থরে-বিথরে,
বিদগ্ধ আশায়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়
বেলা-অবেলার শেষে অবহেলা ভরে;
একদিন তারা ভোরের শিশির হয়ে টুপ করে
ঝরে যাবে অন্য এক পৃথিবীর ঘাসে;
মগজের অভ্যন্তরে এই কথাগুলো
বারবার ঘুরেফিরে আসে।
কবিতার মতো কান্তিময়ী মানুষীরা
আন্দোলিত করে না নিস্তেজ শিরা-উপশিরা।
কতোবার চেয়েছি চালাতে লাঙ্গল,
নীরবে নিভৃতে ঢেলে দিতে জল
তৃষ্ণাতুর পৃথিবীর উর্বর বীজক্ষেতে;
করোনার ক্রুর হাসি, বিদ্রুপ উপেক্ষা করে
স্বাভাবিক মানুষের মুদ্রাদোষে মেতে।
চলমান নক্ষত্রের বুকে বেঁচে আছি,
অবাধ বাতাস চলে জীবনের কাছাকাছি;
সুপ্ত মাথার ভেতরে,
ঠাণ্ডা বুকের ভেতরে,
রুক্ষ্ম চোখের ভেতরে,
উপ্ত বোধের ভেতরে,
মাটিগন্ধী স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে,
তাই,
জীবনের কাছে সাবলীলভাবে
কামনাবিহীন প্রিয়তির গন্ধ খুঁজে যাই।
গোধূলির আলোময় আরেক আকাশে
নক্ষত্রের শোভাময় অনন্য আলোতে
লাবণ্যহীন প্রিয়তি যে নিস্তেজ হয়ে আসে।
অনিশ্চিত আলো-আঁধারে দোল খেয়ে যায়,
শরীরের স্বাদ, প্রাণের আহ্লাদ
মানুষের অগাধ জীবন অনন্তে হারিয়ে যায়।
হায়!
কোন অজানায়!
শিশিরের শব্দের মতোন সুর করে
রাত জেগে গান গাই; আর ভাবি;
পৃথিবীর সৃষ্টি-ধ্বংস, মানুষের জন্ম-মৃত্যু,
এ-জাহান, ও-জাহান, হুর, গেলমান,
এইসব হাবিজাবি।


১৬/০৪/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।