সুন্দর তুমি চিরদিবসের অমিয় ললিত কলা,
     রক্ত-ক্ষরণে কবিতায় পথ চলা।
হাজার বর্ষ সাধনার ফলে নিখিলের সুখ এসে,
কবির কলমে কবিতার সুরে জেগে উঠে ভালোবেসে;
     মিলনমধুর অপরূপ এক দেশে।


লক্ষ যুগের কোটি প্রেমিকের হৃদয়-উৎস হতে,
     কবিরা এসেছে মহামিলনের স্রোতে।
কালের প্রবাহে বেঁচে রহে যতো তিমিরবিনাশী গীতি,
ভালোবাসা দিয়ে জনমে জনমে আনে অনাবিল প্রীতি;
     নয়নসলিলে ভেসে উঠে সেই স্মৃতি।


গোধূলিকালেও পথ চেয়ে থাকে সুখের পরশ নিতে,
     পড়ন্তকালে পুষ্পের সমাধিতে।
কল্পলোকের মাধুরীতে কবি করেন শব্দ-চাষ,
জীবনে যদিও কষ্টের ধারা বয়ে যায় বার মাস;
     এরই মাঝে ঝরে শীতল দীর্ঘশ্বাস!


অনাদিকালের অরূপ প্রিয়তি অনন্ত অনুরাগে,
     জেগে উঠো তুমি হৃদি-কুসুমের বাগে।
তোমারে লভিতে মননের দেশে পাতে সে আসনখানি,
দয়া করে এসো, ওগো দয়াময়ী! কল্পলোকের রানী;
    ভালোবেসে আজ ধরো তার হাতখানি।


প্রিয়তির নামে হাজার কবিতা রচে গেলো যতো কবি,
     ছন্দ-মালায় শব্দের ছায়াছবি।
ভুবনের মাঝে অরূপ মূরতি কবির মননে এসে,
রাতের গহীনে আকাশের মাঝে ঝলকিয়া উঠে হেসে;
     চিরনিশানার ধ্রুবতারকার বেশে।


১৭/১০/২০১৯
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।