আমরা পারিনি রহস্য খুঁজে পেতে-
ভালোবাসা, সম্মান, বিশ্বস্ততার,
সুখী পরিবার এ মাটির ভুবনেতে;
যা দেখায়েছেন আল্লার অবতার।
দুনিয়ার বুকে খাদিজা-মুহম্মদ!
স্মরণযোগ্য আনন্দ-সংসার;
কেউতো এখনো পারেনি করতে রদ
পৃথিববীতে, এতো শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার।
পঁচিশ বছরের মুহাম্মদের সাথে
চল্লিশের ঐ খাদিজার পরিণয়;
যেনো নিশান্তে সূর্য জেগেছে প্রাতে
আলোর পাখিকে নাচালো বিশ্বময়।
পঁচিশ বছর কাটিয়ে গেছেন তাঁরা,
দ্বন্দ্ববিহীন অন্ধপ্রেমের ঘোরে;
সফল প্রেমের গল্প শুনেছে যারা,
শ্রদ্ধাবনত হয়েছে ভক্তি ভরে।
গভীর ধ্যানেতে মগ্ন হতেন নবী
মরু-মক্কার হেরার গুহার মাঝে;
খাদিজা তখন খাবার ও পানি, সবই
পৌঁছিয়ে দিতো সকালে কিংবা সাঁঝে।
খাদিজা যখন আসতেন পায়ে হেঁটে,
হাসি মুখে তাঁরে জানাতো সম্ভাসন;
প্রেম-হাসি দেখে কষ্ট হতো না মোটে,
নিটোল প্রেমের সে এক উদাহরণ।
একদা খাদিজা নবীর অপেক্ষায়
ছাদের উপরে দাঁড়িয়েছিলেন একা;
আত্মীয়া তাঁর জিজ্ঞাসে নিরালায়-
'গরমে কষ্ট করার কিসের ঠ্যাকা'?
খাদিজা বলেন ক্লান্ত শরীরে হেসে-
'প্রিয়তম মম পুড়ছে সূর্য-তাপে,
থাকতে পারি না গৃহের ছায়ায় বসে,
বিরহ-ব্যথায় মরছি যে সন্তাপে'।
সেই খাদিজার চিরবিদায়ের পরে,
প্রিয়তির শোকে কাতর নবীর মন;
সান্তনা দিতে দুখী পয়গাম্বরে
আল্লাহ দিলেন নবিজীকে দর্শন।
মরণ পরেও ভালোবাসা কমেনি যে
খাদিজার প্রতি প্রিয় নবিজীর চিতে;
মক্কা-বিজয় আনন্দময় দিনে
প্রথম গিয়েছে খাদিজার সমাধিতে।
রাত্রিযাপনে আদেশ দিলেন তিনি,
যেখানে ঘুমাচ্ছে বিশ্বাসী সাদিয়া;
সেই বরাবর খাটাইতে তাবুখানি।
আজো ভেবে যাই সেই রহস্য নিয়া!
এমন প্রেমের তন্তুতে বাঁধো তাঁরে,
ভালোবেসে যারে ঠাঁই দাও হৃদি-মাঝে;
জীবনে মরণে আলোতে অন্ধকারে,
তাঁরই দ্যোতনা অন্তরে যেন বাজে।
অবতার- রাসুল/নবী
সাদিয়াা (আরবি)- সৌভাগ্যবতী
২০/০৪/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।